শীতকালীন শক্তিশালী ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঝড়ের সাথে তুষারপাত ও বাতাস বয়ে যাওয়ায় প্রায় চার হাজার ৪০০ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, ফ্লাইটওয়্যারের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বাতিল করা হয়েছে ২ হাজার ৩৫০টি ফ্লাইট। শুক্রবার আরও ২ হাজার ১২০টি ফ্লাইট বাতিলে তালিকায় রয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের রেলপথ কর্তৃপক্ষ ডজনখানেক ট্রেন চলাচল বাতিল করেছে। এতে বড়দিনের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া লোকজনের ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটছে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দেরিতে বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে আরও ৮ হাজার ৪৫০টি ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটের বেশিরভাগই পরিচালনা করে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এয়ারলাইনস।
দক্ষিণ-পশ্চিম এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার, ৮৬৫টি ফ্লাইট বাতিল করে এবং শুক্রবারও সেই তালিকায় রয়েছে ৫৫০টি।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বৃহস্পতিবার জানায়, শীতকালিন ঝড়ের কবলে পড়েছে মধ্যপশ্চিম অঞ্চল। শিকাগো, ডেট্রয়েট এবং মিনিয়াপলিসে ভ্রমণ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ১৪০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং শুক্রবারও আরও ৯০টি ফ্লাইট সেই তালিকায় আছে।
রেলপথ কর্তৃপক্ষ অ্যামট্র্যাক জানিয়েছে, মিশিগান, ইলিনয় ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে এবং নিউইয়র্ক ও শিকাগোর মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনসহ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে মধ্যপশ্চিমে কয়েক ডজন নির্ধারিত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে।
ব্র্যান্ডন ম্যাটিস নামে ২৪ বছর বয়সী এক বিমান যাত্রী জানান, ক্রিসমাস উদযাপন উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান। নিউইয়র্কের লা গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে জর্জিয়ার আটলান্টায় যেতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
তিনি জানান, ফোনে খোঁজ নিচ্ছি, অন্য কোনো উপায় আছে কিনা। আটলান্টায় বাসে যেতে ২১ ঘণ্টা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার থেকে গত ৭ দিনে, পরিবহনের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশাসন বলছে, এ পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ হয়েছে। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে একই সময়ে যাত্রী সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ।
গত বছরও ছুটির সময় কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষগুলো হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়।