বর্ষসেরা গোলের পুরষ্কার পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য সেরা গোলের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। মনোনীত দশজনের এ তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু চমক জাগানিয়া নাম। যেখানে জায়গা করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
একইসঙ্গে ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যাওয়া নেইমার ও ভিনিসিয়ুসও আছেন এই তালিকায়। রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো করিম বেনজেমাও। তবে তালিকায় নেই পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
গত বছর লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় অর্জন বিশ্বকাপ জয় করা। ৩৬ বছর পর নিজের দেশ আর্জেন্টিনাকে এই শিরোপা জেতানোর যাত্রায় এই ফরোয়ার্ডের অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রতি ম্যাচেই তিনি গড়েছেন কোনো না কোনো রেকর্ড। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কীর্তি ছিল তিন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলে, গাব্রিয়েল বাতিস্ততাকে ছাড়িয়ে যাওয়া।
এদিকে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নাম ছিল না করিম বেনজেমার। শেষদিকে ইনজুরি কাটিয়ে উঠলেও ফ্রান্সের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় জায়গা হয়নি তার। যদিও গুঞ্জন উঠে কোচের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই এমনটা হয়। শেষ পর্যন্ত রাগে জাতীয় দল থেকেই অবসর নিলেন। কিন্তু ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বছর কাটিয়েছেন তিনি।
গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বেনজেমার শুরুটা যেমন দারুণ হয়, শেষটাও হয় রঙিন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাটকীয় সব জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। দল যখন হারার দ্বারপ্রান্তে, তখনই গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। রূপকথার সব প্রত্যাবর্তণে লস ব্লাঙ্কোসদের জেতান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। একই সঙ্গে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপও জেতেন তিনি। ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা বেনজেমাই তাইতো গত বছর পান ক্যারিয়ারে প্রথম ব্যালন ডি’অর।
এদিকে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে এই দুর্দান্ত যাত্রায় কম অবদান ছিলো না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রেরও। তাইতো সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনিও। একই সঙ্গে পিএসজির হয়ে আরেক ব্রাজিলিয়ান নেইমার জুনিয়রের মৌসুমটা শুরু হয়েছে স্বপ্নের মতো। গোল-অ্যাসিস্টে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জাতীয় দলের হয়ে আসেন বিশ্বকাপে। সেখানেও দেখান পায়ের যাদু। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়। তবে নেইমারের যে দুর্দান্ত ফর্ম; তাতেই জায়গা করে নিয়েছেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
একনজরে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’র সংক্ষিপ্ত তালিকা:
১. হুলিয়ান আলভারেস (আর্জেন্টিনা/ম্যানচেস্টার সিটি)
২. করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ/ফ্রান্স)
৩. জুডে বেলিংহাম (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড/ইংল্যান্ড)
৪. কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি/বেলজিয়াম)
৫. আর্লিং ব্রট হালান্ড (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড/ম্যানচেস্টার সিটি/নরওয়ে)
৬. আশ্রাফ হাকিমি (পিএসজি/মরক্কো)
৭. রবের্ত লেভানডোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ/বার্সেলোনা/পোল্যান্ড)
৮. সাদিও মানে (লিভারপুল/বায়ার্ন মিউনিখ/সেনেগাল)
৯. কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/ফ্রান্স)
১০. লিওনেল মেসি (পিএসজি/আর্জেন্টিনা)
১১. লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ/ক্রোয়েশিয়া)
১২. নেইমার জুনিয়র (পিএসজি/ব্রাজিল)
১৩. মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল/মিশর)
১৪. ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ/ব্রাজিল)