ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাসব্যাপী কোরআন প্রশিক্ষণ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান Logo সুনামগঞ্জে নবনিযুক্ত দিরাই ও ছাতক সার্কেল কর্মকর্তার যোগদান Logo জগন্নাথপুর রক্তদান সংস্থা’র ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত Logo ধর্মপাশায় অটোরিকশার ধাক্কায় ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু Logo টিআরসি নিয়োগকে ঘিরে জেলা পুলিশের প্রস্তুতিমূলক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত Logo ছাতকের কামারগাঁও বাজারে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ Logo ছাতকে থানা পুলিশের অভিযানে রাজনৈতিক ও সিআর মামলায় গ্রেফতার ২ Logo ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশ: সতর্কতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন – ইমরান হোসেন হিমু Logo শান্তিগঞ্জে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র অন্যতম সহ-সভাপতি এম,এ ছাত্তারের পক্ষে গণসংযোগ Logo অপারেশন ডেভিল হান্ট, শান্তিগঞ্জে আ.লীগের উপদেষ্টা ছোয়াব আলী গ্রেফতার

পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন। সাবেক এ স্বৈরশাসক দুবাইয়ের একটি মার্কিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। রোববার রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে।

পারভেজ মোশাররফ ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর তার পরিবার পাকিস্তানে পাড়ি জমায়। পারভেজ মোশাররফ করাচির সেন্ট প্যাট্রিক হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও করাচির ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন ও ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনড কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৮ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান।

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন মোশাররফ। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ও ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বহাল ছিলেন।

তবে এর মধ্যে ২০০৪ সালে ১৭তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন মোশাররফ। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট। তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র নাইন/ইলেভেন ঘটার পর পাকিস্তানকে ফ্রন্টলাইন মিত্র হওয়ার প্রস্তাব দেয় তৎকালীন মার্কিন সরকার। সে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন মোশাররফ।

মোশাররফ ২০০৭ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পদচ্যুত করার কারণে সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের জন্যও পরিচিত। তার ওই সিদ্ধান্ত আইনজীবী আন্দোলনের সূচনা করেছিল, যা বিচারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামেও পরিচিত। সে ধারাবাহিকতকায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন পারভেজ মোশাররফ।

পরবর্তীকালে তাকে বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। সে মামলায় পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। যদিও পরে সে রায় বাতিল করা হয়েছিল।

২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার অভিযোগের মধ্যেই মোশাররফ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দুবাইতে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি অ্যামাইলয়েডোসিসের জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রোগটি সংযোগকারী টিস্যু ও অঙ্গগুলোকে প্রভাবিত করে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাসব্যাপী কোরআন প্রশিক্ষণ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান

পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন

আপডেট সময় ০১:৫৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন। সাবেক এ স্বৈরশাসক দুবাইয়ের একটি মার্কিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। রোববার রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে।

পারভেজ মোশাররফ ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর তার পরিবার পাকিস্তানে পাড়ি জমায়। পারভেজ মোশাররফ করাচির সেন্ট প্যাট্রিক হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও করাচির ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন ও ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনড কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৮ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান।

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন মোশাররফ। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ও ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বহাল ছিলেন।

তবে এর মধ্যে ২০০৪ সালে ১৭তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন মোশাররফ। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট। তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র নাইন/ইলেভেন ঘটার পর পাকিস্তানকে ফ্রন্টলাইন মিত্র হওয়ার প্রস্তাব দেয় তৎকালীন মার্কিন সরকার। সে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন মোশাররফ।

মোশাররফ ২০০৭ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পদচ্যুত করার কারণে সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের জন্যও পরিচিত। তার ওই সিদ্ধান্ত আইনজীবী আন্দোলনের সূচনা করেছিল, যা বিচারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামেও পরিচিত। সে ধারাবাহিকতকায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন পারভেজ মোশাররফ।

পরবর্তীকালে তাকে বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। সে মামলায় পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। যদিও পরে সে রায় বাতিল করা হয়েছিল।

২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার অভিযোগের মধ্যেই মোশাররফ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দুবাইতে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি অ্যামাইলয়েডোসিসের জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রোগটি সংযোগকারী টিস্যু ও অঙ্গগুলোকে প্রভাবিত করে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।