ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo স্বপ্নের বিনোদনই আজ বিষক্রিয়ায় পরিণত শান্তিগঞ্জে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬

ফেব্রুয়ারির মতো উৎসবগুলোতে আলপনা ছাড়া যেন অনুষ্ঠানের আয়োজন অসম্পূর্ণ থাকে

মূলত আলপনা এক ধরনের লোকশিল্প। বাংলা সংস্কৃতি প্রকাশের জন্য আলপনাকে আশ্রয় করা হয়। আলপনা শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘আলিমপদ’ থেকে। এর অর্থ ‘প্রলেপ দেওয়া’। ভারতবর্ষে আলপনার দেওয়ার প্রথা রয়েছে বহু আগে থেকেই। আলপনার প্রচলন দু-তিন হাজার বছর আগের। অন্যান্য শিল্পের তুলনায় এটি বেশ ক্ষণস্থায়ী। পূর্বে চালের গুঁড়ো দিয়ে আলপনা করা হতো, কারণ মনে করা হয় সাদা শুভ্রতা ও পবিত্রতার প্রতীক।বর্তমানে কেমন হয় আলপনাগুলো, তা নিয়ে বলতে গিয়ে আলপনা শিল্পী হালদার সুমিতা  বলেন, ‘অনুষ্ঠান ভেদে আলপনার রং ও ডিজাইনের পরিবর্তন হয়। বিয়েতে পদ্মফুল, লতাপাতা আঁকা হলেও পুজোর আলপনায় কিন্তু বেশ পার্থক্য আছে। আবার অনুষ্ঠানভেদে আলপনার রং ও ঢং-এর পার্থক্য আছে।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও নন্দনতাত্ত্বিক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আলপনা একটি আদি শিল্প, এই লোকজশিল্প বাঙালির শেকড়ে প্রোথিত। ইট-কাঠের শহরে আলপনার বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি। তবে গ্রামাঞ্চলে এর প্রচলন ব্যাপক। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েরা প্রতিটি পার্বণেই বাড়িঘরের শোভাবর্ধনে চোখজুড়ানো বিভিন্ন আলপনা আঁকেন। যা বাঙালি মেয়েদের শিল্পগুণের পরিচয়কে তুলে ধরে।’স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন উৎসব যেমন পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি আলপনা আঁকা হয়। এই তো কিছুদিন আগেও আলপনা ছাড়া বিয়ে বাড়ি কল্পনাও করা যেত না। বিয়ে বাড়িতে আলপনা আকাঁর কাজটি করা হয় রাতের বেলা। সারারাত জেগে দলবেঁধে কমবয়সী তরুণ-তরুণীরাই আলপনা আকার দায়িত্বে নিয়ে নেয়। আলপনা আকাঁর আনন্দই আলাদা। যারা একটু আধটু আঁকা-আঁকি জানেন তারা ইচ্ছে করলেই আলপনা আকাঁর কাজটি চালিয়ে নিতে পারেন। আর যদি বিয়েবাড়িকে একটু নান্দনিক রূপ দিতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন কোনো পেশাদার আলপনা শিল্পীর সঙ্গে।আলপনা আঁকতে কী কী প্রয়োজন তা নিয়ে হালদার সুমিতা জানান, ‘প্লাস্টিক পেইন্ট, চক পাউডার, আইকা বা আঠা, ৩ ইঞ্চি ও ১ ইঞ্চি তুলি। তবে চক পাউডার মিশিয়ে নিলে আলপনার স্থায়িত্ব বাড়ে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত

ফেব্রুয়ারির মতো উৎসবগুলোতে আলপনা ছাড়া যেন অনুষ্ঠানের আয়োজন অসম্পূর্ণ থাকে

আপডেট সময় ০৮:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মূলত আলপনা এক ধরনের লোকশিল্প। বাংলা সংস্কৃতি প্রকাশের জন্য আলপনাকে আশ্রয় করা হয়। আলপনা শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘আলিমপদ’ থেকে। এর অর্থ ‘প্রলেপ দেওয়া’। ভারতবর্ষে আলপনার দেওয়ার প্রথা রয়েছে বহু আগে থেকেই। আলপনার প্রচলন দু-তিন হাজার বছর আগের। অন্যান্য শিল্পের তুলনায় এটি বেশ ক্ষণস্থায়ী। পূর্বে চালের গুঁড়ো দিয়ে আলপনা করা হতো, কারণ মনে করা হয় সাদা শুভ্রতা ও পবিত্রতার প্রতীক।বর্তমানে কেমন হয় আলপনাগুলো, তা নিয়ে বলতে গিয়ে আলপনা শিল্পী হালদার সুমিতা  বলেন, ‘অনুষ্ঠান ভেদে আলপনার রং ও ডিজাইনের পরিবর্তন হয়। বিয়েতে পদ্মফুল, লতাপাতা আঁকা হলেও পুজোর আলপনায় কিন্তু বেশ পার্থক্য আছে। আবার অনুষ্ঠানভেদে আলপনার রং ও ঢং-এর পার্থক্য আছে।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও নন্দনতাত্ত্বিক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আলপনা একটি আদি শিল্প, এই লোকজশিল্প বাঙালির শেকড়ে প্রোথিত। ইট-কাঠের শহরে আলপনার বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি। তবে গ্রামাঞ্চলে এর প্রচলন ব্যাপক। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েরা প্রতিটি পার্বণেই বাড়িঘরের শোভাবর্ধনে চোখজুড়ানো বিভিন্ন আলপনা আঁকেন। যা বাঙালি মেয়েদের শিল্পগুণের পরিচয়কে তুলে ধরে।’স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন উৎসব যেমন পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি আলপনা আঁকা হয়। এই তো কিছুদিন আগেও আলপনা ছাড়া বিয়ে বাড়ি কল্পনাও করা যেত না। বিয়ে বাড়িতে আলপনা আকাঁর কাজটি করা হয় রাতের বেলা। সারারাত জেগে দলবেঁধে কমবয়সী তরুণ-তরুণীরাই আলপনা আকার দায়িত্বে নিয়ে নেয়। আলপনা আকাঁর আনন্দই আলাদা। যারা একটু আধটু আঁকা-আঁকি জানেন তারা ইচ্ছে করলেই আলপনা আকাঁর কাজটি চালিয়ে নিতে পারেন। আর যদি বিয়েবাড়িকে একটু নান্দনিক রূপ দিতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন কোনো পেশাদার আলপনা শিল্পীর সঙ্গে।আলপনা আঁকতে কী কী প্রয়োজন তা নিয়ে হালদার সুমিতা জানান, ‘প্লাস্টিক পেইন্ট, চক পাউডার, আইকা বা আঠা, ৩ ইঞ্চি ও ১ ইঞ্চি তুলি। তবে চক পাউডার মিশিয়ে নিলে আলপনার স্থায়িত্ব বাড়ে।’