নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন ছাত্র আহত হয়েছেন।ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতন, টং ও আবদুস সালাম হল এলাকায় বুধবার দুপুর ও রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।আহতদের মধ্যে ট্যুরিজম বিভাগের তামিরুল হাফিজ ও ফয়সল, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন এবং মাইনুল আহত হয়েছেন।একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নুহাশ গ্রুপ ও নাঈম গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ান। এসময় মাইনুল নামে এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়।রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুহাশ গ্রুপের অনুসারীরা সালাম হলের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে। পুনরায় সেখানেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গিয়ে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে কল করা হলে তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে বৈঠক চলমান রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার সঙ্গে তারা কোনো পক্ষ জড়িত নন।নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান পাঠান জানান, কয়েকজন ছাত্র আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।