ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ছয় নিত্যপণ্য আমদানি: ভারত নিশ্চয়তা দেবে এই অপেক্ষায় বাংলাদেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি চাপের মুখে। এই পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবিলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে কোটা নিশ্চয়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এই ছয় পণ্য আনার বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিচার-বিশ্লেষণ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, নয়াদিল্লিতে গত ২২-২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডাল আমদানিতে বার্ষিক কোটা চেয়েছে বাংলাদেশ। কোটা পাওয়া গেলে ভারত যখন-তখন বাংলাদেশে এসব পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ কোটা সুবিধা চাওয়া হয়।
তবে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মনে করে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ পণ্যের আমদানি কোটা চাওয়া হয়েছে তা পরিমানের দিক থেকে অনেক বেশি। বাংলাদেশের জন্য এতো পরিমাণ পণ্যের প্রয়োজন হয় না। তাই বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করছে তারা।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ভারত থেকে কোনও নিত্যপণ্য আমদানিতে কী পরিমাণ কোটা চাওয়া হবে, সেটি ঠিক করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। কমিটিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিত্যপণ্যগুলোর ১০ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতের কাছে কোটা-সুবিধা চাওয়া হয়। পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা। ভুটান ও মালদ্বীপকে এ কোটা-সুবিধা দিয়ে আসছে ভারত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়,  চাল, চিনি, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি অংশের চাহিদা পূরণ করা হয় ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু ভারত নানা পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে পুরো বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। তবে নিত্যপণ্যে আমদানিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারত সরকার কাছ থেকে কোটা সুবিধা পাওয়ার পর ভারত যে কোনও কারণে পণ্য রফতানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশ ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে দ্বিতীয় অবস্থান হচ্ছে ভারত। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য হচ্ছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের। এছাড়া চিনি আমদানি করা হয় ৭৭ কোটি ডলারের। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হয় ৮৫৯ কোটি ডলারের। যার মধ্যে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ হচ্ছে ১০০ কোটি ডলারের। ওই বছর শুধু চিনি আমদানি করা হয় ৭০ কোটি ডলারের।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি কোটা সুবিধা চাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবের বিপরীতে ভারত থেকে এখনও জবাব আসেনি। তবে ভারত সরকারের ইতিবাচক সম্মতি রয়েছে বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি।

জানা গেছে, এ ছয় নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পাওয়া গেলে ভারত যখন-তখন বাংলাদেশে এসব পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে না। বাংলাদেশ প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণের এই পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে পারবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা সুবিধা ভুটান ও মালদ্বীপকে দিয়ে আসছে ভারত। এবার এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
আমদানির বার্ষিক কোটার মধ্যে চালের পরিমাণ ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮-১০ লাখ এবং বেসরাকরিভাবে ৫-৭ লাখ মেট্রিক টন আমদানির কোটা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া গম আমদানির কোটা সুবিধা চাওয়া হয় ২০ লাখ মেট্রিক টনের, যার মধ্যে সরকারিভাবে ৫ থেকে ৭ লাখ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন। অপর চারটি পণ্যের মধ্যে চিনি ১০ লাখ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৬ লাখ টন, আদা এক লাখ মেট্রিক টন এবং রসুন ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এ প্রসঙ্গে আমদানির কোটা নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর  মো. মাহবুবুল হক জানিয়েছেন, সরকার টু সরকার পর্যায়ে এ প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এর আগে একটি কমিটি গঠন করে পণ্যের প্রকৃত আমদানির চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। এরপর সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে চাহিদার কোটা ভারতের কাছে চাওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয় পণ্য আমদানির কোটার আওতায় সুনির্দিষ্ট চাহিদা নিরূপণ করে প্রস্তাব ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এসব পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা চাওয়া হয়েছে। আমরা যা চেয়েছি, তা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে ভারত। কিন্তু আমরা যদি পরে তা আমদানি না করি, তখন কী হবে—এমন প্রশ্ন রয়েছে তাদের। তিনি আরও বলেছিলেন, উভয় পক্ষকে বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে ভারত। আমরা চেষ্টা করছি কোটা আদায়ের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

ছয় নিত্যপণ্য আমদানি: ভারত নিশ্চয়তা দেবে এই অপেক্ষায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০১:৪২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি চাপের মুখে। এই পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবিলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে কোটা নিশ্চয়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এই ছয় পণ্য আনার বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিচার-বিশ্লেষণ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, নয়াদিল্লিতে গত ২২-২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডাল আমদানিতে বার্ষিক কোটা চেয়েছে বাংলাদেশ। কোটা পাওয়া গেলে ভারত যখন-তখন বাংলাদেশে এসব পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ কোটা সুবিধা চাওয়া হয়।
তবে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মনে করে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ পণ্যের আমদানি কোটা চাওয়া হয়েছে তা পরিমানের দিক থেকে অনেক বেশি। বাংলাদেশের জন্য এতো পরিমাণ পণ্যের প্রয়োজন হয় না। তাই বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করছে তারা।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ভারত থেকে কোনও নিত্যপণ্য আমদানিতে কী পরিমাণ কোটা চাওয়া হবে, সেটি ঠিক করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। কমিটিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিত্যপণ্যগুলোর ১০ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতের কাছে কোটা-সুবিধা চাওয়া হয়। পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা। ভুটান ও মালদ্বীপকে এ কোটা-সুবিধা দিয়ে আসছে ভারত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়,  চাল, চিনি, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি অংশের চাহিদা পূরণ করা হয় ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু ভারত নানা পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে পুরো বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। তবে নিত্যপণ্যে আমদানিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারত সরকার কাছ থেকে কোটা সুবিধা পাওয়ার পর ভারত যে কোনও কারণে পণ্য রফতানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশ ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে দ্বিতীয় অবস্থান হচ্ছে ভারত। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য হচ্ছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের। এছাড়া চিনি আমদানি করা হয় ৭৭ কোটি ডলারের। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হয় ৮৫৯ কোটি ডলারের। যার মধ্যে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ হচ্ছে ১০০ কোটি ডলারের। ওই বছর শুধু চিনি আমদানি করা হয় ৭০ কোটি ডলারের।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি কোটা সুবিধা চাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবের বিপরীতে ভারত থেকে এখনও জবাব আসেনি। তবে ভারত সরকারের ইতিবাচক সম্মতি রয়েছে বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি।

জানা গেছে, এ ছয় নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পাওয়া গেলে ভারত যখন-তখন বাংলাদেশে এসব পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে না। বাংলাদেশ প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণের এই পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে পারবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা সুবিধা ভুটান ও মালদ্বীপকে দিয়ে আসছে ভারত। এবার এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
আমদানির বার্ষিক কোটার মধ্যে চালের পরিমাণ ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮-১০ লাখ এবং বেসরাকরিভাবে ৫-৭ লাখ মেট্রিক টন আমদানির কোটা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া গম আমদানির কোটা সুবিধা চাওয়া হয় ২০ লাখ মেট্রিক টনের, যার মধ্যে সরকারিভাবে ৫ থেকে ৭ লাখ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন। অপর চারটি পণ্যের মধ্যে চিনি ১০ লাখ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৬ লাখ টন, আদা এক লাখ মেট্রিক টন এবং রসুন ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এ প্রসঙ্গে আমদানির কোটা নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর  মো. মাহবুবুল হক জানিয়েছেন, সরকার টু সরকার পর্যায়ে এ প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এর আগে একটি কমিটি গঠন করে পণ্যের প্রকৃত আমদানির চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। এরপর সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে চাহিদার কোটা ভারতের কাছে চাওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয় পণ্য আমদানির কোটার আওতায় সুনির্দিষ্ট চাহিদা নিরূপণ করে প্রস্তাব ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এসব পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা চাওয়া হয়েছে। আমরা যা চেয়েছি, তা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে ভারত। কিন্তু আমরা যদি পরে তা আমদানি না করি, তখন কী হবে—এমন প্রশ্ন রয়েছে তাদের। তিনি আরও বলেছিলেন, উভয় পক্ষকে বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে ভারত। আমরা চেষ্টা করছি কোটা আদায়ের।