ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দক্ষিণ সুদানে প্রশংসিত বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা

নিরাপত্তা টহল, অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালনা, সীমানা নিরাপত্তাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি যুদ্ধপীড়িত দক্ষিণ সুদানের নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা। দক্ষিণ সুদানের ব্যানব্যাট ৬-এর (আনমিস) দুটি স্কোয়াডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ নারী এই মিশনে অংশ নিয়েছেন।লিঙ্গ সমস্যার কার্যকর মোকাবিলার জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যানব্যাটে নারী সৈনিকদের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আসছেন তারা।নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গবৈষম্য, শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করা হচ্ছে। এতে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নারী শান্তিরক্ষীদের আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয় শান্তি স্থাপনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সম্মানিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সুনাম অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের নাম।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে আনমিস, এসআরএসজি, ফোর্স কমান্ডার এবং ডেপুটি ফোর্স কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও তাদের পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধক্লান্ত ও বিপর্যস্ত সমাজে যেভাবে নারী ও শিশুরাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা তাদের জন্য আশীর্বাদ বলছেন স্থানীয়রা।তাদের সমন্বিত কর্মদক্ষতা দক্ষিণ সুদানে শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক কৌশল নির্ধারণসহ ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের সমস্যার সমাধানের উপায় নির্ধারণের একটি সেতুবন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বৃহত্তর ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নারীরা অবদান রাখছেন।শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত ব্যানব্যাটের পর্যবেক্ষণ বলছে, ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল টিম পদ্ধতি এসওপি অনুসারে আউট রিচ অপারেশন পরিচালনা করে দক্ষিণ সুদানের মূল জনসংখ্যার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করার জন্য ব্যানব্যাট জেন্ডার পেট্রোলের ধারণা উদ্ভাবন করে। জেন্ডার পেট্রোল হলো নারী শান্তিরক্ষীদের একটি স্কোয়াড, যা স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয়। জেন্ডার টহলের প্রধান মিশন হলো বেসরকারি নাগরিক পি ওসি মানবাধিকার রক্ষা করা এবং তা রক্ষার উপায়গুলোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।ব্যানব্যাট এই টহলগুলো পরিচালনা করে, যাতে সফলভাবে গ্রামীণ অবকাঠামোর অংশের কাছে পৌঁছানো যায়। লিঙ্গ টহল ও টহল কর্মীরা সাধারণ স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা প্রাথমিক শিক্ষা প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মৌলিক জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা শেখায়। সেই সঙ্গে টেকসই জীবিকা কর্মশালা সম্পর্কে ধারণা দেয়।ব্যানব্যাট ৬-এর জেন্ডার অ্যাডভাইজার মেজর উদয়া দক্ষিণ সুদানে তাদের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে বলতে গিয়ে দেশটিতে নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে প্রচলিত আছে যে সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে। মানবসমাজে নারী ও পুরুষ পরস্পর নির্ভরশীল। আগের দিনে নারীকে গৃহ সামগ্রীর কল্যাণার্থে বিবেচনা করা হতো নারীকে তাদের স্বামী কিংবা পরিবারের ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজে নেমেছে। তাই আজ নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যেসব নারী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, তারা শুধু পরিবারের বোঝা নন, জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনেক।ব্যানব্যাট ৬-এর এনগেজমেন্ট প্লাটুন কমান্ডার ক্যাপ্টেন সোনার তরী বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নারী সমাজের ভূমিকা বিশেষভাবে স্বীকার করে নিতে হয়। নারীর যোগ্য স্থান লাভের জন্য দরকার উপযুক্ত শিক্ষার। শিক্ষার আলোকে নিজের জীবনকে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে শিক্ষিত নারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা পুরুষের চেয়ে নিম্ন পর্যায়ে ভুক্ত নন।দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধাপীড়িত নারী ও শিশুদের পাশে থেকে নির্ভয়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের নারী শান্তি রক্ষীরা উল্লেখ করে দেশটির রকরকডং পায়াম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলেন, তাদের (দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধপীড়িত নারী ও শিশুদের) কাছে আস্থা এবং ভরসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন নারী শান্তিরক্ষীরা। দীর্ঘ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও নির্মমতা নব্য প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ সুদানের আপামর জনগণের জীবন ম্লান করে দিয়েছিল।এখন তারা বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীদের কাছে প্রাণ খুলে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারছেন। নারী শান্তিরক্ষীরাও আগ্রহ ভরে তাদের সমস্যা শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

দক্ষিণ সুদানে প্রশংসিত বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা

আপডেট সময় ১১:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

নিরাপত্তা টহল, অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালনা, সীমানা নিরাপত্তাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি যুদ্ধপীড়িত দক্ষিণ সুদানের নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা। দক্ষিণ সুদানের ব্যানব্যাট ৬-এর (আনমিস) দুটি স্কোয়াডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ নারী এই মিশনে অংশ নিয়েছেন।লিঙ্গ সমস্যার কার্যকর মোকাবিলার জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যানব্যাটে নারী সৈনিকদের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আসছেন তারা।নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গবৈষম্য, শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করা হচ্ছে। এতে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নারী শান্তিরক্ষীদের আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয় শান্তি স্থাপনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সম্মানিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সুনাম অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের নাম।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে আনমিস, এসআরএসজি, ফোর্স কমান্ডার এবং ডেপুটি ফোর্স কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও তাদের পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধক্লান্ত ও বিপর্যস্ত সমাজে যেভাবে নারী ও শিশুরাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা তাদের জন্য আশীর্বাদ বলছেন স্থানীয়রা।তাদের সমন্বিত কর্মদক্ষতা দক্ষিণ সুদানে শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক কৌশল নির্ধারণসহ ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের সমস্যার সমাধানের উপায় নির্ধারণের একটি সেতুবন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বৃহত্তর ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নারীরা অবদান রাখছেন।শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত ব্যানব্যাটের পর্যবেক্ষণ বলছে, ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল টিম পদ্ধতি এসওপি অনুসারে আউট রিচ অপারেশন পরিচালনা করে দক্ষিণ সুদানের মূল জনসংখ্যার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করার জন্য ব্যানব্যাট জেন্ডার পেট্রোলের ধারণা উদ্ভাবন করে। জেন্ডার পেট্রোল হলো নারী শান্তিরক্ষীদের একটি স্কোয়াড, যা স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয়। জেন্ডার টহলের প্রধান মিশন হলো বেসরকারি নাগরিক পি ওসি মানবাধিকার রক্ষা করা এবং তা রক্ষার উপায়গুলোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।ব্যানব্যাট এই টহলগুলো পরিচালনা করে, যাতে সফলভাবে গ্রামীণ অবকাঠামোর অংশের কাছে পৌঁছানো যায়। লিঙ্গ টহল ও টহল কর্মীরা সাধারণ স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা প্রাথমিক শিক্ষা প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মৌলিক জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা শেখায়। সেই সঙ্গে টেকসই জীবিকা কর্মশালা সম্পর্কে ধারণা দেয়।ব্যানব্যাট ৬-এর জেন্ডার অ্যাডভাইজার মেজর উদয়া দক্ষিণ সুদানে তাদের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে বলতে গিয়ে দেশটিতে নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে প্রচলিত আছে যে সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে। মানবসমাজে নারী ও পুরুষ পরস্পর নির্ভরশীল। আগের দিনে নারীকে গৃহ সামগ্রীর কল্যাণার্থে বিবেচনা করা হতো নারীকে তাদের স্বামী কিংবা পরিবারের ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজে নেমেছে। তাই আজ নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যেসব নারী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, তারা শুধু পরিবারের বোঝা নন, জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনেক।ব্যানব্যাট ৬-এর এনগেজমেন্ট প্লাটুন কমান্ডার ক্যাপ্টেন সোনার তরী বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নারী সমাজের ভূমিকা বিশেষভাবে স্বীকার করে নিতে হয়। নারীর যোগ্য স্থান লাভের জন্য দরকার উপযুক্ত শিক্ষার। শিক্ষার আলোকে নিজের জীবনকে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে শিক্ষিত নারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা পুরুষের চেয়ে নিম্ন পর্যায়ে ভুক্ত নন।দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধাপীড়িত নারী ও শিশুদের পাশে থেকে নির্ভয়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের নারী শান্তি রক্ষীরা উল্লেখ করে দেশটির রকরকডং পায়াম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলেন, তাদের (দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধপীড়িত নারী ও শিশুদের) কাছে আস্থা এবং ভরসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন নারী শান্তিরক্ষীরা। দীর্ঘ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও নির্মমতা নব্য প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ সুদানের আপামর জনগণের জীবন ম্লান করে দিয়েছিল।এখন তারা বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীদের কাছে প্রাণ খুলে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারছেন। নারী শান্তিরক্ষীরাও আগ্রহ ভরে তাদের সমস্যা শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।