সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক জেলায় শনিবারের ওই হামলায় ২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ জেনারেল আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর হুমকি দেওয়ার একদিন পরই হামলা চালানো হলো।
ক্ষমতা দ্বন্দ্ব থেকে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। চলতি মাসের প্রথম দিকে আরএসএফ ইয়ারমুকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। রাজধানীর ওই এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে।
শনিবার আরও পরের দিকে যুদ্ধরত দলগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। স্থানীয় সময় রোববার থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুপক্ষ। সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তবে এর আগেও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে দুপক্ষের এই লড়াইয়ে নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকসহ ১০০০ হাজারের বেশি মানুষ এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
লোকজন যেন নিরাপদে পালাতে পারেন সেজন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যে সংঘাত চলছেই।
আরএসএফের মতে, মেয়ো, ইয়ারমুক এবং ম্যান্ডেলা এলাকায় বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।
সংঘাত শুরুর হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী চাদে পালিয়ে গেছে। সেখানে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
ডেস্ক রিপোর্ট :