ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

জনগণ ভালো থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এবং মানুষ যেন ভালো থাকে সে জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটুকু বলব আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের অর্থনীতিটাকে ধরে রাখতে। সেই ক্ষেত্রে আমি সবাইকে এটাই বলব প্রত্যেকেরই কিন্তু কিছুটা কৃচ্ছতা সাধনা করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল থেকে যাতে ডলারের সংকট কেটে যায় সেদিকেই আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

মানুষের কষ্ট কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা কথা আমি বলব, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি; আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করছি দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে।

বিলাস দ্রব্য আমদানি কমানোর নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেটা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন না, বিলাস দ্রব্য, এটার আমদানি আমাদের কমাতে হবে এবং এর ওপরে আমাদের ট্যাক্স বসাতে হবে বেশি করে।

তিনি বলেন, আমরা আঙ্গুর-আপেল না খেলে কী হয়। এখন তো আমাদের নিজেদের দেশে ফলই প্রচুর আছে। আমাদের পেয়ারা আছে, তরমুজ আছে, আমড়া আছে। আমাদের কত কিছু আছে। সেই কারণেই কিন্তু আমরা সবাইকে বলব এ বিষয়টার দিকে সবাই দৃষ্টি দিতে হবে।

রিজার্ভ নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই- রিজার্ভ নিয়ে সবাই এখন আলোচনা করে, আমরা সবাই পারদর্শী হয়ে গেছি এতে কোনো সন্দেহ নেই।

দেশে এখন ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, গত ৩ নভেম্বর ‘২০২২ তারিখে রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের যে রিজার্ভ আছে এখনো তা দিয়ে অন্তত পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যদি তিন মাসের আমদানি করার মতো রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটাই যথেষ্ট।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আমাদের রিজার্ভ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। এটার কারণটা হচ্ছে করোনার সময় সবার বিদেশে যাওয়া বন্ধ ছিল, কোনো জিনিস আমরা ক্রয় করিনি বা আমদানি করা হয়নি। এমনকি ক্যাপিটাল মেশনারিজ, কোনো জিনিস… আমদানি খুব সীমিত ছিল। সে জন্য আমাদের খরচটা একেবারে কম ছিল। তখন অর্থাৎ ২০২০ এবং ২১ সালে বিদেশ থেকে কোনো কিছু আসছিল না এরকম একটা পরিস্থিতি ছিল।

তিনি বলেন, এরপর বিশ্বব্যাপী যখন যোগাযোগ বাড়লো, তখন  স্বাভাবিকভাবেই আমাদের আমদানিও বাড়া শুরু করে। এই আমদানি যখন বাড়তে থাকায় আমাদের রিজার্ভও কমতে শুরু করল।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

জনগণ ভালো থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি

আপডেট সময় ১১:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এবং মানুষ যেন ভালো থাকে সে জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটুকু বলব আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের অর্থনীতিটাকে ধরে রাখতে। সেই ক্ষেত্রে আমি সবাইকে এটাই বলব প্রত্যেকেরই কিন্তু কিছুটা কৃচ্ছতা সাধনা করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল থেকে যাতে ডলারের সংকট কেটে যায় সেদিকেই আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

মানুষের কষ্ট কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা কথা আমি বলব, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি; আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করছি দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে।

বিলাস দ্রব্য আমদানি কমানোর নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেটা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন না, বিলাস দ্রব্য, এটার আমদানি আমাদের কমাতে হবে এবং এর ওপরে আমাদের ট্যাক্স বসাতে হবে বেশি করে।

তিনি বলেন, আমরা আঙ্গুর-আপেল না খেলে কী হয়। এখন তো আমাদের নিজেদের দেশে ফলই প্রচুর আছে। আমাদের পেয়ারা আছে, তরমুজ আছে, আমড়া আছে। আমাদের কত কিছু আছে। সেই কারণেই কিন্তু আমরা সবাইকে বলব এ বিষয়টার দিকে সবাই দৃষ্টি দিতে হবে।

রিজার্ভ নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই- রিজার্ভ নিয়ে সবাই এখন আলোচনা করে, আমরা সবাই পারদর্শী হয়ে গেছি এতে কোনো সন্দেহ নেই।

দেশে এখন ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, গত ৩ নভেম্বর ‘২০২২ তারিখে রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের যে রিজার্ভ আছে এখনো তা দিয়ে অন্তত পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যদি তিন মাসের আমদানি করার মতো রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটাই যথেষ্ট।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আমাদের রিজার্ভ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। এটার কারণটা হচ্ছে করোনার সময় সবার বিদেশে যাওয়া বন্ধ ছিল, কোনো জিনিস আমরা ক্রয় করিনি বা আমদানি করা হয়নি। এমনকি ক্যাপিটাল মেশনারিজ, কোনো জিনিস… আমদানি খুব সীমিত ছিল। সে জন্য আমাদের খরচটা একেবারে কম ছিল। তখন অর্থাৎ ২০২০ এবং ২১ সালে বিদেশ থেকে কোনো কিছু আসছিল না এরকম একটা পরিস্থিতি ছিল।

তিনি বলেন, এরপর বিশ্বব্যাপী যখন যোগাযোগ বাড়লো, তখন  স্বাভাবিকভাবেই আমাদের আমদানিও বাড়া শুরু করে। এই আমদানি যখন বাড়তে থাকায় আমাদের রিজার্ভও কমতে শুরু করল।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম