সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হিংগার বিল নামের জলমহাল ইজারা দিয়ে দুই সমিতির নিকট থেকে খাজনা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে রবিবার ১২ টায় বিআরডিবি হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হিংগার বিল নামক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যরা।
জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলার অনুর্ধ ২০ একর আয়তন বিশিষ্ট হিংগার বিল জলমহালটি ১৪৩০ বাংলাসন হতে ১৪৩২ বাংলা সন পর্যন্ত ইজারা নেয়ার জন্য হিংরা বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ, যমুনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ আবেদন করে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা জলমহাল ব্যাবস্থাপনা কমিটি যাচাই বাছাই করে সমিতির নিবন্ধনের কাগজপত্র, সমিতির ঘর ও জলমহালের তীরবর্তী হিসেবে হিংরা বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি যোগ্যতার দিক দিয়ে প্রথম স্থান লাভ করে। পরে উক্ত সমিতির অনুকূলে হিংগার বিল জলমহালটি ইজারা প্রদান করা হয়। যথারীতি উক্ত সমিতির নিকট থেকে খাজনা আদায় করা হয়। আবেদনকারী অন্য দুই সমিতির মধ্যে যমুনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ২ য় ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ৩ য় স্থান লাভ করে।
পরে যোগ্যতার দিক দিয়ে ৩য় স্থান অধিকারী সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ উক্ত জলমহাল ইজারা পাওয়ার জন্য জেলাপ্রশাসকের কার্যালয় সুনামগঞ্জ বরাবর আপিল করে।
আপিল করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একক রিপোর্টের ভিত্তিতে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষে হিংগারবিল জলমহালের খাজনা নেয়ার নির্দেশ দেন জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপিল করার পর আমার(ইউএনওর)একক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষে হিংগার বিল জলমহালের খাজনা নেয়ার নির্দেশ আসে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয় থেকে।