ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দিরাই শাল্লার সম্পৃতি রক্ষায় পাবেল চৌধুরীর আহ্বান Logo শান্তিগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo টাঙ্গুয়ার হাওরে গড়ে উঠছে পর্যটক সেবা কেন্দ্র: জানালেন অতিরিক্ত ডিআইজি (নৌ পুলিশ) Logo শান্তিগঞ্জে জব্বার ডাকাত গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত পংকজসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, উদ্ধার ৩৫০ ইয়াবা Logo শান্তিগঞ্জে বৃদ্ধের মানহানি করায় পুলিশ সদস্য আল আমিনের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন Logo শান্তিগঞ্জে জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সেমিনার Logo দোয়ারাবাজারে একাধিক মামলার আসামী ভূমি খেকু আওয়ামী লীগ নেতা আনু গ্রেপ্তার Logo শান্তিগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে মালিকানাধীন জায়গায় ঘর নির্মাণে বাঁধা, থানায় অভিযোগ দায়ের

 ওএমএসের চাল পেতে সারারাত খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা

ওএমএসের চাল পেতে শীতের রাতে সারারাত খোলা আকাশের নিচে মানবেতরভাবে অপেক্ষা করতে  হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের স্বল্প আয়ের মানুষদের।

জানা গেছে, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে দেশে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম চালু রয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে প্রতিজন ৩০ টাকা কেজিদরে পাঁচ কেজি করে চাল পাবেন। কিন্তু এ চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় স্বল্প আয়ের মানুষকে। আগে চাল পেতে তাদের রাতভর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য। স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আয় উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে আমার স্বামী ছাড়া আর কেউ নেই। অভাবের সংসারে সারা বছর চাল কিনে খেতে হয়। বাজারে চালের দাম ৬০ টাকা আর স্বামীর দৈনিক আয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা। সামান্য এ আয় দিয়ে বাজারে চাল কিনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে ঘুরে কোনো চাল না পাওয়ায় আজকে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি জেগে পরের দিন চাল পাব বলে আশা করে।

ডিলারদের দাবি, স্থানীয় খাদ্য বিভাগ চালের দৈনিক বরাদ্দ কম দেওয়ায় অনেকে চাল পাচ্ছেন না। শীতের রাতে ঠাণ্ডায় অনেককেই রাতভর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

ডিলাররা তাদের বরাদ্দ আগের মত প্রতিদিন ২ টন করার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে তাদের প্রতিদিন ১ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

গোমস্তাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারেক-উজ-জামান মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, রহনপুর পৌর এলাকার চারজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া আছে। এক টন করে চারজন ডিলারের জন্য চার টন চাল দৈনিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

রহনপুর পৌর এলাকার কলেজ মোড়ে ডিলার গোলাম রাব্বানী বলেন, পাঁচ কেজি চালের জন্য ভুক্তভোগীদের সারারাত অপেক্ষায় থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। চালের বরাদ্দ আগের মতো করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।

জনস্বার্থে নিউজ24.কম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শাল্লায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দিরাই শাল্লার সম্পৃতি রক্ষায় পাবেল চৌধুরীর আহ্বান

 ওএমএসের চাল পেতে সারারাত খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা

আপডেট সময় ০৬:০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

ওএমএসের চাল পেতে শীতের রাতে সারারাত খোলা আকাশের নিচে মানবেতরভাবে অপেক্ষা করতে  হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের স্বল্প আয়ের মানুষদের।

জানা গেছে, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে দেশে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম চালু রয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে প্রতিজন ৩০ টাকা কেজিদরে পাঁচ কেজি করে চাল পাবেন। কিন্তু এ চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় স্বল্প আয়ের মানুষকে। আগে চাল পেতে তাদের রাতভর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য। স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আয় উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে আমার স্বামী ছাড়া আর কেউ নেই। অভাবের সংসারে সারা বছর চাল কিনে খেতে হয়। বাজারে চালের দাম ৬০ টাকা আর স্বামীর দৈনিক আয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা। সামান্য এ আয় দিয়ে বাজারে চাল কিনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে ঘুরে কোনো চাল না পাওয়ায় আজকে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি জেগে পরের দিন চাল পাব বলে আশা করে।

ডিলারদের দাবি, স্থানীয় খাদ্য বিভাগ চালের দৈনিক বরাদ্দ কম দেওয়ায় অনেকে চাল পাচ্ছেন না। শীতের রাতে ঠাণ্ডায় অনেককেই রাতভর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

ডিলাররা তাদের বরাদ্দ আগের মত প্রতিদিন ২ টন করার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে তাদের প্রতিদিন ১ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

গোমস্তাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারেক-উজ-জামান মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, রহনপুর পৌর এলাকার চারজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া আছে। এক টন করে চারজন ডিলারের জন্য চার টন চাল দৈনিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

রহনপুর পৌর এলাকার কলেজ মোড়ে ডিলার গোলাম রাব্বানী বলেন, পাঁচ কেজি চালের জন্য ভুক্তভোগীদের সারারাত অপেক্ষায় থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। চালের বরাদ্দ আগের মতো করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।

জনস্বার্থে নিউজ24.কম