শান্তিগঞ্জ(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেছেন, সুনামগঞ্জের প্রতিটি আসনে জমিয়তের প্রার্থী থাকবে৷ সুনামগঞ্জ-৩ আসন (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) জমিয়তের ঘাটি৷ এটি আমাদের খেজুর গাছের আসন। আমরা রক্ত দিয়ে হলেও এই আসন রক্ষা করবো। পার্লামেন্টে আমরা প্রতিনিধি পাঠাবো। জমিয়ত ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জমিয়ত শান্তি চায়৷ জমিয়ত বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকাকে মডেল করতে চায়। তাই ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জমিয়তের কোন বিকল্প নেই।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের
শান্তিগঞ্জ বাজার চত্ত্বরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়ত ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ইনসাফ ভিত্তিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, আমৃত্যু আপনারা জমিয়তের সাথে থাকবেন। এই দলের নেতৃত্বে এই উপমহাদেশ ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্তি লাভ করেছিল৷ এই দলের ইতিহাস রক্ত দেয়ার ইতিহাস, এই দলের ইতিহাস স্বাধীনতার ইতিহাস৷ এই দলের ইতিহাস ফ্যাসিবাদ, আগ্রাসন, মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে যাওয়ার ইতিহাস।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২৪শের এই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার সাথে একীভূত হয়ে মাঠে ছিলাম। রক্ত স্নাত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনে আমরা সমর্থন জানিয়ে দলীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম৷ আমরা বুলেটকে সামনে রেখে, গোলাবারুদের সামনে দাড়িয়ে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে একাত্ম ছিলাম৷ আমাদের এই কওমি অঙ্গন, ইসলামি অঙ্গন থেকে প্রায় ৮৪ জন শাহাদাত বরণ করেছেন৷
শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুস্তাক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাই ও যুব জমিয়ত নেতা আবু সাইদের যৌথ সঞ্চালনায়
গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস মাও. নূরুল ইসলাম খাঁন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাও. শায়খ আবদুল বছির, যুগ্ম-মহাসচিব ও সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাও. তাফাজ্জুল হক আজিজ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী।
আরও বক্তব্য দেন জেলা জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র জমিয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক চৌধুরী, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক এড. রেজাউল হক, কাতার জমিয়তের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাও. সোয়াইব আহমদ, জেলা জমিয়তের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাও. রুকনুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. রশিদ আহমদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাও. আরশদ নোমান, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাও. মাসরুর আহমদ ক্বাসেমী, দিরাই জমিয়তের সভাপতি মহি উদ্দিন ক্বাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মোখতার হোসাইন চৌধুরী।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. আলী আহমদ, জমিয়ত নেতা মাও. আবদুল হাই, মাও. আবদুর রহিম, মাও. হাফিজ আবদুল গফফার, মাও. রিয়াজ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ সদর জমিয়তের সাথারণ সম্পাদক রমজান হোসাইন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাও. আবদুল্লাহ্, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাও. আতিকুল হক, প্রচার সম্পাদক মাও. সালমান আহমদের, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর খাঁন, উপজেলা জমিয়ত নেতা মাও. মুহসিন আহমদ, আহমদ কবির আমেনি ও উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ শায়েখুল ইসলাম।
এসময় জমিয়ত নেতা মাও. শায়খ ইছহাক আলী, শায়খ ইসকন্দর আলী, ক্বারী আজির উদ্দিন, মৌলভী আবদুস সালাম, মাও. আবদুল ওয়াদুদসহ উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়ত, ছাত্রজনতা ও সাধারণ তৌহিদি জনতাসহ হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।