স্টাফ রিপোর্টার:(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের নিতাই গাং জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এবং জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শিমুলবাঁক জনতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার পাথারিয়া ও শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন অভিযোগ দায়ের করেন শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুব ইসলাম৷
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ও শিমুলবাক ইউনিয়নের তেহকিয়া, গোবিন্দপুর, শিমুলবাক, রঘুনাথপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নিতাই গাং পাড়ের বাসিন্দা এবং এই নদীকে কেন্দ্র করে এই বিশাল জনপদটি গড়ে উঠেছে। এলাকার শত শত কৃষক জমি হাল চাষের জন্য নিতাই নদীর পানি ব্যবহার করেন। গ্রামের হাজার হাজার নর-নারী এই নদীতেই গোসল করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু শিমুলবাঁক জনতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: সদস্যরা পেশি শক্তি ব্যবহার করে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এলাকাবাসীর নিষেধ অমান্য করে মাছ ধরার জন্য সেচ মেশিন দিয়ে নদীটি শুকিয়ে ফেলতেছে এবং কিছু অংশ ইতোমধ্যে শুকিয়ে ফেলছে। বারবার এলাকাবাসীর নিষেধ অমান্য করে ইজারাদাররা গভীর রাতে মেশিন লাগিয়ে পানি উত্তোলন করছে। তাই এলাকাবাসীর স্বার্থে এবং জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে উক্ত নিতাই গাং জলমহালটি শুকিয়ে মাছ না ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শান্তিগঞ্জ থানা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বরাবর এমন অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে জলমহালের পানি শুকিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে৷
জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার ব্যাপারটি অস্বীকার করে শিমুলবাঁক জনতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: সভাপতি সাকির আলী বলেন, আমরা পানি শুকিয়ে মাছ মারিনি৷ জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী আমরা মাছ ধরছি।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আকরাম আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তিন ফুট পানি রেখে মৎস্য আহরনের জন্য বলা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্গন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।