ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo স্বপ্নের বিনোদনই আজ বিষক্রিয়ায় পরিণত শান্তিগঞ্জে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কেমুসাস বইমেলার শেষ দিনের গল্প

পারভেজ হুসেন তালুকদার: পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি ও প্রকাশিত বইয়ের সুবাদে অনেকেই আমাকে একজন লেখক হিসেবে চিনেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি একজন ভালো পাঠকও। প্রত্যেক পাঠকেরাই কম বেশি বইমেলা ভালোবাসেন, আমিও তাঁর ব্যতিক্তম নই। আজ মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ ছিলো উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংসদ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ( কেমুসাস ) আয়োজিত সিলেটের অন্যতম প্রধান ষোড়শ কেমুসাস বইমেলা ২০২২ এর ১০ দিনের সমাপনী দিন। তাই সকালেই স্থির করেছিলাম আজকে সন্ধ্যায় মেলায় লেখক-পাঠকদের সাথে মেলবন্ধনে যাব। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩ টায় শেষ রাত ৯ টায়। সন্ধ্যা হতেই তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেছিলাম, এর আগেও অনেকবার কেমুসাস যাওয়া হয়েছে। তাছাড়াও লেখাপড়ার সুবাদে সিলেটে বসবাসের ৩ মাস অতিক্রম করতেছি, তাই কমবেশি পথঘাট চেনা। আখালিয়া থেকে আম্বরখানা পয়েন্ট তারপর সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়ায় দরগা গেইট সংলগ্ন কেমুসাস প্রাঙ্গণে মেলা। মেলা পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত নিঃসঙ্গই ছিলাম, পৌঁছেই গেটে পেয়ে গেলাম বিখ্যাত এমসি কলেজের কবিতা পরিষদ প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ত্রৈমাসিক জাগরণী’র সম্পাদক তরুণ কবি মইনুল হাসান আবির ভাইকে। একসঙ্গে মেলার ভেতরে যেতে শুরু করলাম। আজকে মেলার শেষ দিন, মুটামুটি ভীড়। প্রত্যেক স্টলের সামনেই বই হাতে নেড়েচেড়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলেন পাঠকেরা। তাছাড়াও আজকে লেখকদের আগমন কম ছিলো না। মেলার ভেতরে যেতে যেতেই দেখা পেলাম তরুণ ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজার ও কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আবদুল কাদির জীবন ভাইকে। বইমেলার শেষ দিন সবাই একসাথে হাঁটতে হাঁটতে মেলায় আসা পাঠকদের সঙ্গে ফ্রেম বন্দিও কম হলো না। এবারের কেমুসাস বইমেলায় অনেক স্টল এসেছে। সরলতার স্টলে পেয়ে গেলাম আমার লেখা ছড়ার বই ছড়ার ঝলক যদিও বইটি প্রকাশ করেছে কবিনগর বার্তা। স্টলেই ছিলেন সিলেটের বিশিষ্ট ছড়াকার শাহাদাত বখ্ত শাহেদ ও ছাদির হুসাইন। তারাও আমাকে দেখে খুশি হলেন। আমি আর আবির ভাই মেলায় অনেক ঘুরাঘুরি করলাম বই কিনলাম। মেলায় দেখা হল সিলেটের আরেক জনপ্রিয় ছড়াকার ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান আংকেলের সাথে। আমরা একসঙ্গে মেলায় অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। সব শেষে আমি আর আবির ভাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। এই দশ দিনে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু আজকে আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, আজকে একসঙ্গে সকল লেখকদেরও দেখা পেয়ে ভালো লেগেছে। রিকশা করে ফিরবার সময় মনে মনে বলছিলাম আগামী বছর আবার দেখা হবে কেমুসাস বইমেলা।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কেমুসাস বইমেলার শেষ দিনের গল্প

আপডেট সময় ০৩:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
পারভেজ হুসেন তালুকদার: পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি ও প্রকাশিত বইয়ের সুবাদে অনেকেই আমাকে একজন লেখক হিসেবে চিনেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি একজন ভালো পাঠকও। প্রত্যেক পাঠকেরাই কম বেশি বইমেলা ভালোবাসেন, আমিও তাঁর ব্যতিক্তম নই। আজ মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ ছিলো উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংসদ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ( কেমুসাস ) আয়োজিত সিলেটের অন্যতম প্রধান ষোড়শ কেমুসাস বইমেলা ২০২২ এর ১০ দিনের সমাপনী দিন। তাই সকালেই স্থির করেছিলাম আজকে সন্ধ্যায় মেলায় লেখক-পাঠকদের সাথে মেলবন্ধনে যাব। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩ টায় শেষ রাত ৯ টায়। সন্ধ্যা হতেই তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেছিলাম, এর আগেও অনেকবার কেমুসাস যাওয়া হয়েছে। তাছাড়াও লেখাপড়ার সুবাদে সিলেটে বসবাসের ৩ মাস অতিক্রম করতেছি, তাই কমবেশি পথঘাট চেনা। আখালিয়া থেকে আম্বরখানা পয়েন্ট তারপর সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়ায় দরগা গেইট সংলগ্ন কেমুসাস প্রাঙ্গণে মেলা। মেলা পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত নিঃসঙ্গই ছিলাম, পৌঁছেই গেটে পেয়ে গেলাম বিখ্যাত এমসি কলেজের কবিতা পরিষদ প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ত্রৈমাসিক জাগরণী’র সম্পাদক তরুণ কবি মইনুল হাসান আবির ভাইকে। একসঙ্গে মেলার ভেতরে যেতে শুরু করলাম। আজকে মেলার শেষ দিন, মুটামুটি ভীড়। প্রত্যেক স্টলের সামনেই বই হাতে নেড়েচেড়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলেন পাঠকেরা। তাছাড়াও আজকে লেখকদের আগমন কম ছিলো না। মেলার ভেতরে যেতে যেতেই দেখা পেলাম তরুণ ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজার ও কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আবদুল কাদির জীবন ভাইকে। বইমেলার শেষ দিন সবাই একসাথে হাঁটতে হাঁটতে মেলায় আসা পাঠকদের সঙ্গে ফ্রেম বন্দিও কম হলো না। এবারের কেমুসাস বইমেলায় অনেক স্টল এসেছে। সরলতার স্টলে পেয়ে গেলাম আমার লেখা ছড়ার বই ছড়ার ঝলক যদিও বইটি প্রকাশ করেছে কবিনগর বার্তা। স্টলেই ছিলেন সিলেটের বিশিষ্ট ছড়াকার শাহাদাত বখ্ত শাহেদ ও ছাদির হুসাইন। তারাও আমাকে দেখে খুশি হলেন। আমি আর আবির ভাই মেলায় অনেক ঘুরাঘুরি করলাম বই কিনলাম। মেলায় দেখা হল সিলেটের আরেক জনপ্রিয় ছড়াকার ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান আংকেলের সাথে। আমরা একসঙ্গে মেলায় অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। সব শেষে আমি আর আবির ভাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। এই দশ দিনে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু আজকে আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, আজকে একসঙ্গে সকল লেখকদেরও দেখা পেয়ে ভালো লেগেছে। রিকশা করে ফিরবার সময় মনে মনে বলছিলাম আগামী বছর আবার দেখা হবে কেমুসাস বইমেলা।