শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) নোয়াখালী সদরে একদিনের নবজাতককে আটকে স্বজনদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মুন হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকের লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকালে সেনবাগের মতিরহাট এলাকার মিশুক চালক মো. রাসেলের স্ত্রী বিলকিস একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। দুপুরে অসুস্থ শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে তাদের মুন হাসপাতালে পাঠায় দালাল চক্র।
নবজাতকের মামা মো. মাসুদ বলেন, ‘মুন হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার না পেয়ে আমরা চলে আসতে চাইলে হাসপাতালের লোকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা শিশুকে আটক করে সেখানে ভর্তি করতে চাপ দিতে থাকেন। আমরা এতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের স্টাফ রাজুর নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে তারা চড়-থাপ্পড় ও লাথি মেরে আহত করেছেন। আমার পকেট থেকে ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার না করলে আমাকে আরও মারধর করা হতো।’
সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মুন হাসপাতালে গিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হামলা ও মারধরের অভিযোগ করেন। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাঈদ ইকবাল বলেন, ‘ডাক্তার আসতে দেরি হওয়ায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।