ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা

রাত ১০টা পর্যন্ত রমজানে দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

আসন্ন রমজানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চায় ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। একইসঙ্গে ১৫ রোজার পর থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যতক্ষণ ক্রেতা ততক্ষণ দোকান খোলা রেখে পণ্য বিক্রির সুযোগ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পণ্য মজুত করলে হরহামেশা শাস্তি দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু একজন ব্যবসায়ী কতটুকু মজুত করতে পারবে তার নীতিমালা নেই। রমজানে সাধারণত পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের নজরে রাখা জরুরি। কারণ বাজারে এখনই পণ্যের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আরিফুর রহমান টিপু বলেন, ‘দোকান ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করে না। তাদের পক্ষে সিন্ডিকেট করাও সম্ভব না। সিন্ডিকেট পরিচালনা করে দেশের সর্বোচ্চ ১৫-২০ জন আমদানিকারক, উৎপাদনকারী এবং সুপার বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তি বা অভিযান পরিচালিত হলে দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল হবে।’

তিনি পাইকারি ও খুচরা বিক্রিতে নিট মুনাফার হার ঠিক করে দেয়ার দাবি জানান।

সংগঠনের নেতারা বলেন, দোকান ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রি হয় সাধারণত মাগরিবের নামাজের পর। সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বর্তমানে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই ক্ষতি পোষানোর জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে দোকান ব্যবসায়ীরা ভ্যাট আইন সহজ করার দাবি জানান। তারা বলেন, ৫০ লাখ টাকার টার্নওভারের ওপরের সব দোকান ব্যবসায়ী বর্তমান আইন অনুযায়ী মোট বিক্রি মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়। এটাকে সহজ করে নিট মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বিধান করা হোক।

এছাড়া দোকান ব্যবসায়ীরা ভারতের মতো করে সব দোকানে ইএফডি মেশিন দেয়ার অনুরোধ জানান, যেন ভ্যাট দেয়া সহজ হয়; সরকারেরও রাজস্ব বাড়ে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

রাত ১০টা পর্যন্ত রমজানে দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় ০৭:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আসন্ন রমজানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চায় ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। একইসঙ্গে ১৫ রোজার পর থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যতক্ষণ ক্রেতা ততক্ষণ দোকান খোলা রেখে পণ্য বিক্রির সুযোগ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পণ্য মজুত করলে হরহামেশা শাস্তি দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু একজন ব্যবসায়ী কতটুকু মজুত করতে পারবে তার নীতিমালা নেই। রমজানে সাধারণত পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের নজরে রাখা জরুরি। কারণ বাজারে এখনই পণ্যের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আরিফুর রহমান টিপু বলেন, ‘দোকান ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করে না। তাদের পক্ষে সিন্ডিকেট করাও সম্ভব না। সিন্ডিকেট পরিচালনা করে দেশের সর্বোচ্চ ১৫-২০ জন আমদানিকারক, উৎপাদনকারী এবং সুপার বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তি বা অভিযান পরিচালিত হলে দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল হবে।’

তিনি পাইকারি ও খুচরা বিক্রিতে নিট মুনাফার হার ঠিক করে দেয়ার দাবি জানান।

সংগঠনের নেতারা বলেন, দোকান ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রি হয় সাধারণত মাগরিবের নামাজের পর। সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বর্তমানে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই ক্ষতি পোষানোর জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে দোকান ব্যবসায়ীরা ভ্যাট আইন সহজ করার দাবি জানান। তারা বলেন, ৫০ লাখ টাকার টার্নওভারের ওপরের সব দোকান ব্যবসায়ী বর্তমান আইন অনুযায়ী মোট বিক্রি মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়। এটাকে সহজ করে নিট মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বিধান করা হোক।

এছাড়া দোকান ব্যবসায়ীরা ভারতের মতো করে সব দোকানে ইএফডি মেশিন দেয়ার অনুরোধ জানান, যেন ভ্যাট দেয়া সহজ হয়; সরকারেরও রাজস্ব বাড়ে।