ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

জয় বাংলা তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

মঞ্চ থেকে গ্যালারি, যে দিকেই তাকানো যায়, শুধু তারুণ্যের স্রোত। সবার মুখে একটাই স্লোগান– জয় বাংলা। এই স্লোগানের সঙ্গে গানে গানে গতকাল বুধবার তারুণ্যের জোয়ারে যেন উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে স্মরণ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা এ দিন আয়োজন করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কনসার্টে উপস্থিত থেকে তরুণদের উৎসাহ দিয়েছেন।গতকাল দুপুর ১টার পরপরই কনসার্ট উপভোগে দীর্ঘ লাইন ধরে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে থাকেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা স্লোগানে মাঠে প্রবেশ করেন দর্শক। বিকেল ৩টায় শুরু হয় তারুণ্যের জয় বাংলা কনসার্ট। শুরুতে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কাতার থেকে দেশে ফিরে সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সিআরআইর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। ভিআইপি বক্স থেকে হাত নেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত তারুণ্যের প্রতি শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সদরঘাট থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে জয় বাংলা কনসার্টে এসেছিলেন ইউসুফ খালেদ। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা কনসার্ট মানেই অন্যরকম অনুভূতি। করোনার কারণে গেল দুই বছর কনসার্ট বন্ধ থাকায় আসা হয়নি। আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে আজ মাঠের মধ্যে গানের সঙ্গে নেচেগেয়ে অনেক আনন্দ করেছি।’ গাজীপুর থেকে সপরিবারে এসেছিলেন জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, জয় বাংলা কনসার্ট আমাদের প্রাণের কনসার্ট। এখানে এসে মনে হচ্ছে শৈশবে ফিরে গেছি। মাঠভর্তি মানুষের একসঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান শুনে মনে হচ্ছে, একাত্তরের জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছি।কনসার্টের শুরুতেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ‘আমার দেশ, সব মানুষের’– গেয়ে মঞ্চ মাতায় ‘আরেকটি রক ব্যান্ড’। এ ছাড়া তাদের নতুন অ্যালবাম থেকে ‘ঘুম পাড়ানোর গান’ পরিবেশন করে। এর পর মঞ্চ মাতাতে আসে ব্যান্ড ‘কার্নিভাল’। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড মেঘদল শোনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মোহিনী চৌধুরীর লেখা গান ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান।’ পাশাপাশি ব্যান্ড দলটি তাদের জনপ্রিয় ‘এ হাওয়া’ গানটিও শোনায়। সন্ধ্যার দিকে মঞ্চে আসে ‘অ্যাভয়েড রাফা’। তারাও গেয়ে শোনায় মুক্তিযুদ্ধের গান। এর পর লালন ব্যান্ড গায় তাদের জনপ্রিয় বিভিন্ন ফিউশন গান।
পরবর্তী সময়ে ‘তাই গর্জে ওঠো আবারও, পেছনে ফেলে সামনে বাড়ো, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’– গানের সঙ্গে গেয়ে ওঠে স্টেডিয়ামে থাকা সব দর্শক। এর পরই উপস্থাপন করা হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। এর আগে মঞ্চ নৃত্য প্রদর্শন করেন শিল্পীরা। এ ছাড়া কনসার্টে মঞ্চ মাতান ক্রিপটিক ফেট, চিরকুট ও আর্টসেলের শিল্পীরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জয় বাংলা তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

আপডেট সময় ০৮:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

মঞ্চ থেকে গ্যালারি, যে দিকেই তাকানো যায়, শুধু তারুণ্যের স্রোত। সবার মুখে একটাই স্লোগান– জয় বাংলা। এই স্লোগানের সঙ্গে গানে গানে গতকাল বুধবার তারুণ্যের জোয়ারে যেন উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে স্মরণ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা এ দিন আয়োজন করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কনসার্টে উপস্থিত থেকে তরুণদের উৎসাহ দিয়েছেন।গতকাল দুপুর ১টার পরপরই কনসার্ট উপভোগে দীর্ঘ লাইন ধরে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে থাকেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা স্লোগানে মাঠে প্রবেশ করেন দর্শক। বিকেল ৩টায় শুরু হয় তারুণ্যের জয় বাংলা কনসার্ট। শুরুতে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কাতার থেকে দেশে ফিরে সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সিআরআইর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। ভিআইপি বক্স থেকে হাত নেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত তারুণ্যের প্রতি শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সদরঘাট থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে জয় বাংলা কনসার্টে এসেছিলেন ইউসুফ খালেদ। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা কনসার্ট মানেই অন্যরকম অনুভূতি। করোনার কারণে গেল দুই বছর কনসার্ট বন্ধ থাকায় আসা হয়নি। আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে আজ মাঠের মধ্যে গানের সঙ্গে নেচেগেয়ে অনেক আনন্দ করেছি।’ গাজীপুর থেকে সপরিবারে এসেছিলেন জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, জয় বাংলা কনসার্ট আমাদের প্রাণের কনসার্ট। এখানে এসে মনে হচ্ছে শৈশবে ফিরে গেছি। মাঠভর্তি মানুষের একসঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান শুনে মনে হচ্ছে, একাত্তরের জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছি।কনসার্টের শুরুতেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ‘আমার দেশ, সব মানুষের’– গেয়ে মঞ্চ মাতায় ‘আরেকটি রক ব্যান্ড’। এ ছাড়া তাদের নতুন অ্যালবাম থেকে ‘ঘুম পাড়ানোর গান’ পরিবেশন করে। এর পর মঞ্চ মাতাতে আসে ব্যান্ড ‘কার্নিভাল’। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড মেঘদল শোনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মোহিনী চৌধুরীর লেখা গান ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান।’ পাশাপাশি ব্যান্ড দলটি তাদের জনপ্রিয় ‘এ হাওয়া’ গানটিও শোনায়। সন্ধ্যার দিকে মঞ্চে আসে ‘অ্যাভয়েড রাফা’। তারাও গেয়ে শোনায় মুক্তিযুদ্ধের গান। এর পর লালন ব্যান্ড গায় তাদের জনপ্রিয় বিভিন্ন ফিউশন গান।
পরবর্তী সময়ে ‘তাই গর্জে ওঠো আবারও, পেছনে ফেলে সামনে বাড়ো, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’– গানের সঙ্গে গেয়ে ওঠে স্টেডিয়ামে থাকা সব দর্শক। এর পরই উপস্থাপন করা হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। এর আগে মঞ্চ নৃত্য প্রদর্শন করেন শিল্পীরা। এ ছাড়া কনসার্টে মঞ্চ মাতান ক্রিপটিক ফেট, চিরকুট ও আর্টসেলের শিল্পীরা।