ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ঢাকায় পাচার কালে সুনামগঞ্জ থেকে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার Logo সেফটির হাওরে হীরা-৯ জাতের ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি Logo সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা Logo সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দেড়ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, পরে সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী Logo বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার Logo শান্তিগঞ্জের আসামমুড়ায় ​ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল Logo দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন

মেয়ের পা পুড়িয়ে ভিক্ষা করাতেন মা, সেই টাকায় খেলতেন জুয়া

ভিক্ষা করাতে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে এক মা তার শিশুকন্যার পায়ে  পলিথিন মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া এক দম্পতিকে ফাঁসাতে মিথ্যা “অপহরণের” মামলা করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।রবিবার (১২ মার্চ) রাত ১০দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বদনা শাহ মাজার এলাকা থেকে হোসনে আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশ জানায়, হোসনে আরা মেয়েকে দিয়ে ভিক্ষা করাতে পায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ভিক্ষার টাকা দিয়ে জুয়া (লুডু) খেলতেন হোসনে আরা। পরে তার মেয়ে রাশেদা আক্তারকে গৃহকর্মী হিসেবে মো. রাশেদ ও লিমু আক্তার নামে এক দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন। গত বছরের ২৭ এপ্রিল সেই দম্পতির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে “অপহরণের” মামলা করেন হোসনে আরা।সেই মামলার তদন্তে নেমে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পিবিআই। তদন্তে নেমে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক জাহেদুজ্জামান চৌধুরী শিশু গৃহকর্মী রাশেদা আক্তারকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠান। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিশু রাশেদা উল্লেখ করে, সে বদনা শাহ মাজারের সামনে ভিক্ষা করতো। তার মা হোসনে আরা বেগম পলিথিন দিয়ে তার পা পুড়ে দিতেন। পোড়া পা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করতো সে। ভিক্ষায় পাওয়া টাকা দিয়ে তার মা লুডু খেলতেন। তার ছোট ভাই এক্সিডেন্ট করে পা ভেঙ্গে ফেলায় চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। তখন রাশেদ ও লিমু তার মাকে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে তাদের বাসায় রাশেদাকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে, হোসনে আরা টাকা আদায়ের জন্য রাশেদ ও লিমুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা করেছেন। আদালত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সন্তানের পা পুড়িয়ে ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় জড়ানোর দায়ে হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে শিশু আইন ২০১৩-এর ৭১ ধারা অনুযায়ী মামলার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক নুরুল আলম মিয়া বাদী হয়ে হোসনে আরার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলাও পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মর্জিনা আকতার দৈনিক পত্রিকা সমকালকে বলেন, “হোসনে আরা বেগম ধূর্ত প্রকৃতির। নিজের মেয়েকে দিয়ে তিনি ভিক্ষা করাতেন। ভিক্ষা করাতে গিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য পলিথিন মুড়িয়ে সন্তানের পা পুড়ে ক্ষত তৈরি করতেন। সন্তানের ভিক্ষার টাকায় জুয়া খেলতেন। পরে স্বেচ্ছায় মেয়েকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়োগ করেন। অহেতুক হয়রানি করে টাকা আদায়ের জন্য গৃহ মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন।”তিনি আরও বলেন, “হোসনে আরাকে গ্রেপ্তার করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় পাচার কালে সুনামগঞ্জ থেকে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার

মেয়ের পা পুড়িয়ে ভিক্ষা করাতেন মা, সেই টাকায় খেলতেন জুয়া

আপডেট সময় ০৯:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

ভিক্ষা করাতে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে এক মা তার শিশুকন্যার পায়ে  পলিথিন মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া এক দম্পতিকে ফাঁসাতে মিথ্যা “অপহরণের” মামলা করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।রবিবার (১২ মার্চ) রাত ১০দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বদনা শাহ মাজার এলাকা থেকে হোসনে আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশ জানায়, হোসনে আরা মেয়েকে দিয়ে ভিক্ষা করাতে পায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ভিক্ষার টাকা দিয়ে জুয়া (লুডু) খেলতেন হোসনে আরা। পরে তার মেয়ে রাশেদা আক্তারকে গৃহকর্মী হিসেবে মো. রাশেদ ও লিমু আক্তার নামে এক দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন। গত বছরের ২৭ এপ্রিল সেই দম্পতির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে “অপহরণের” মামলা করেন হোসনে আরা।সেই মামলার তদন্তে নেমে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পিবিআই। তদন্তে নেমে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক জাহেদুজ্জামান চৌধুরী শিশু গৃহকর্মী রাশেদা আক্তারকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠান। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিশু রাশেদা উল্লেখ করে, সে বদনা শাহ মাজারের সামনে ভিক্ষা করতো। তার মা হোসনে আরা বেগম পলিথিন দিয়ে তার পা পুড়ে দিতেন। পোড়া পা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করতো সে। ভিক্ষায় পাওয়া টাকা দিয়ে তার মা লুডু খেলতেন। তার ছোট ভাই এক্সিডেন্ট করে পা ভেঙ্গে ফেলায় চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। তখন রাশেদ ও লিমু তার মাকে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে তাদের বাসায় রাশেদাকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে, হোসনে আরা টাকা আদায়ের জন্য রাশেদ ও লিমুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা করেছেন। আদালত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সন্তানের পা পুড়িয়ে ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় জড়ানোর দায়ে হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে শিশু আইন ২০১৩-এর ৭১ ধারা অনুযায়ী মামলার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক নুরুল আলম মিয়া বাদী হয়ে হোসনে আরার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলাও পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মর্জিনা আকতার দৈনিক পত্রিকা সমকালকে বলেন, “হোসনে আরা বেগম ধূর্ত প্রকৃতির। নিজের মেয়েকে দিয়ে তিনি ভিক্ষা করাতেন। ভিক্ষা করাতে গিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য পলিথিন মুড়িয়ে সন্তানের পা পুড়ে ক্ষত তৈরি করতেন। সন্তানের ভিক্ষার টাকায় জুয়া খেলতেন। পরে স্বেচ্ছায় মেয়েকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়োগ করেন। অহেতুক হয়রানি করে টাকা আদায়ের জন্য গৃহ মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন।”তিনি আরও বলেন, “হোসনে আরাকে গ্রেপ্তার করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”