রাম নবমীতে কুয়ার কংক্রিটের ঢাকনার ওপর ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। ওই ঢাকনাটি ৩০ থেকে ৪০ জনের ভার বহনে সক্ষম ছিল না। সেটি ভেঙে পুণ্যার্থীরা কুয়ার ৪০ ফুট গর্তে পড়ে যান।ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বৃহস্পতিবার বেলেশ্বর মহাদেব মন্দিরে কুয়ার ঢাকনা ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন একজন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে।মন্দিরে রাম নবমীর অনুষ্ঠানে বিপুল মানুষের চাপে কুয়ার ঢাকনাটি ধসে যায়, যাতে অনেকে হতাহত হন।
ইন্দোর জেলা প্রশাসক ইলায়ারাজা টির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরেছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শুক্রবার অব্যাহত রয়েছে।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোরের অন্যতম প্রাচীন কলোনি স্নেহনগরে অবস্থিত মন্দিরটি পরিচালনা করে বেসরকারি একটি ট্রাস্ট।কিছু সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আমলে নিলে ইন্দোর পৌরসভা হয়তো ট্র্যাজেডিটি রোধ করতে পারত।স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের এপ্রিলে মহাদেব মন্দির ট্রাস্টের কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল পৌরসভা। সে নোটিশে স্থানীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছিল, দখলকৃত একটি পার্কে কুয়ার ওপর মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে।পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলার জন্য কুয়ার ছাদটি চিহ্নিত করেছিল, তবে মন্দির ট্রাস্ট এর বিরোধিতা করে বলে, এ ধরনের উদ্যোগ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে। ফলে কুয়া ভাঙা থেকে পিছু হটে পৌরসভা।রাম নবমীতে কুয়ার কংক্রিটের ঢাকনার ওপর ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। ওই ঢাকনাটি ৩০ থেকে ৪০ জনের ভার বহনে সক্ষম ছিল না। সেটি ভেঙে পুণ্যার্থীরা কুয়ার ৪০ ফুট গর্তে পড়ে যান।পুণ্যার্থীদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ও স্টেট ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)।মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫ লাখ রুপি এবং আহত প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।