স্থানীয় কৃষিখাতকে রক্ষা করতে প্রতিবেশী ইউক্রেন থেকে শস্য এবং অন্যান্য খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি। দুই সরকার শনিবার বলেছে, অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীদের এমন আচরণের হতাশা ব্যক্ত করেছে ইউক্রেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সদস্য রাষ্ট্রের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ভূখণ্ডে আক্রমণের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের বেশ কিছু বন্দরে অবরোধ দেয় মস্কো। ফলে বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় শস্য ইউরোপের মধ্যাঞ্চলের দেশগুলোর বাইরে যেতে পারছে না। এতে এসব দেশে পণ্যের সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে যেতে থাকে।গত মাসে ইউরোপীয় কমিশনকে ইউরোপের ওই অঞ্চলের পাঁচটি দেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয় শস্য, তেল, বীজ, ডিম, পোলট্রি ও চিনির মতো পণ্যগুলোর সরবরাহ ‘নজিরবিহীন’ মাত্রায় বেড়েছে। ইউক্রেনের কৃষিজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এখন শুল্কের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।পোল্যান্ডে এটি নির্বাচনের বছর। দেশটিতে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে অনেক দিন ধরেই। এমন প্রেক্ষাপটে খাদ্যের অতিরিক্ত সরবরাহের বিষয়টি ক্ষমতাসীন দল ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ পার্টিকে (পিআইএস) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।পিআইএস নেতা জারোস্লো কাকজিনস্কি বলেন, ‘সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা হলো- ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে শস্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রবেশ ও আমদানি নিষিদ্ধ হবে। শস্য থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এ তালিকায় থাকছে।’পোল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞাটি দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চুক্তির বিরোধী বলছে ইউক্রেন সরকার। দেশটির খাদ্য ও কৃষিনীতিমালাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, এই সংকট সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই।এক বিবৃতিতে ইউক্রেন সরকার জানায়, পোলিশ কৃষকরা একটি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে ইউক্রেনীয় কৃষকরাও এই মুহূর্তে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে।’ইউক্রেন জানায়, একতরফা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না।
পোল্যান্ডের পর হাঙ্গেরিও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির সরকার বলছে, ইউক্রেনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক বাতিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রবিধানে পরিবর্তনের আশা করছে বুদাপেস্ট।ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র রবিবার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।রয়টার্সকে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুখপাত্র লিখেছেন, ইউক্রেনে খাদ্যশস্য ও অপর কৃষিজাত পণ্য আমদানির বিষয়ে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির ঘোষণা সম্পর্কে আমরা অবগত। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিনীতি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি আরও লিখেছেন, এমন কঠিন সময়ে সদস্য রাষ্ট্রের উচিত সব সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও সমন্বিতভাবে নেওয়া উচিত।শনিবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হয়েছে পোল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা। রবিবার দেশটির উন্নয়ন ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ওয়ালডেমার বুদা বলেছেন, পোলিশ ভূখণ্ড হয়ে এসব পণ্য অন্য দেশে পরিবহনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞাটি প্রযোজ্য হবে।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, এটি পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা। ইউক্রেনীয় সঙ্গে একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আলোচনা হবে। যাতে করে ইউক্রেনীয় কৃষিপণ্য স্থানীয় বাজারে প্রবেশ না করে অন্য দেশে যেতে পারে।ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পরিচালিত বার্তা সংস্থা বলেছে, সোমবার পোল্যান্ডে বৈঠক করবেন ইউক্রেনীয় ও পোলিশ মন্ত্রীরা। তাদের আলোচনায় ট্রানজিট নিয়ে চুক্তি প্রাধান্য পাবে।গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ভূখণ্ডে আক্রমণের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের বেশ কিছু বন্দরে অবরোধ দেয় মস্কো। ফলে বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় শস্য ইউরোপের মধ্যাঞ্চলের দেশগুলোর বাইরে যেতে পারছে না। এতে এসব দেশে পণ্যের সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে যেতে থাকে।গত মাসে ইউরোপীয় কমিশনকে ইউরোপের ওই অঞ্চলের পাঁচটি দেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয় শস্য, তেল, বীজ, ডিম, পোলট্রি ও চিনির মতো পণ্যগুলোর সরবরাহ ‘নজিরবিহীন’ মাত্রায় বেড়েছে। ইউক্রেনের কৃষিজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এখন শুল্কের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।পোল্যান্ডে এটি নির্বাচনের বছর। দেশটিতে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে অনেক দিন ধরেই। এমন প্রেক্ষাপটে খাদ্যের অতিরিক্ত সরবরাহের বিষয়টি ক্ষমতাসীন দল ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ পার্টিকে (পিআইএস) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।পিআইএস নেতা জারোস্লো কাকজিনস্কি বলেন, ‘সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা হলো- ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে শস্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রবেশ ও আমদানি নিষিদ্ধ হবে। শস্য থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এ তালিকায় থাকছে।’পোল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞাটি দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চুক্তির বিরোধী বলছে ইউক্রেন সরকার। দেশটির খাদ্য ও কৃষিনীতিমালাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, এই সংকট সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই।এক বিবৃতিতে ইউক্রেন সরকার জানায়, পোলিশ কৃষকরা একটি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে ইউক্রেনীয় কৃষকরাও এই মুহূর্তে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে।’ইউক্রেন জানায়, একতরফা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না।পোল্যান্ডের পর হাঙ্গেরিও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির সরকার বলছে, ইউক্রেনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক বাতিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রবিধানে পরিবর্তনের আশা করছে বুদাপেস্ট।ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র রবিবার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।রয়টার্সকে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুখপাত্র লিখেছেন, ইউক্রেনে খাদ্যশস্য ও অপর কৃষিজাত পণ্য আমদানির বিষয়ে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির ঘোষণা সম্পর্কে আমরা অবগত। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিনীতি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি আরও লিখেছেন, এমন কঠিন সময়ে সদস্য রাষ্ট্রের উচিত সব সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও সমন্বিতভাবে নেওয়া উচিত।শনিবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হয়েছে পোল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা। রবিবার দেশটির উন্নয়ন ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ওয়ালডেমার বুদা বলেছেন, পোলিশ ভূখণ্ড হয়ে এসব পণ্য অন্য দেশে পরিবহনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞাটি প্রযোজ্য হবে।টুইটারে তিনি লিখেছেন, এটি পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা। ইউক্রেনীয় সঙ্গে একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আলোচনা হবে। যাতে করে ইউক্রেনীয় কৃষিপণ্য স্থানীয় বাজারে প্রবেশ না করে অন্য দেশে যেতে পারে।ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পরিচালিত বার্তা সংস্থা বলেছে, সোমবার পোল্যান্ডে বৈঠক করবেন ইউক্রেনীয় ও পোলিশ মন্ত্রীরা। তাদের আলোচনায় ট্রানজিট নিয়ে চুক্তি প্রাধান্য পাবে।