ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঈদের ছুটিতে সুন্দরবন ভ্রমণ, প্রস্তুত ৮ লঞ্চ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিশ্ব ঐতিহ্য ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি শেষ। ঈদের পরদিন থেকেই মোংলা হয়ে ছোট ছোট বোর্টে করমজল ও হারবাড়িয়া ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ২৪ ও ২৮ এপ্রিল তিন দিনের ভ্রমণের জন্য আটটি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ আটটি লঞ্চে দুইবারে প্রায় ৫০০ পর্যটক থাকবেন সুন্দরবন ভ্রমণে।ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে খুলনা থেকে আটটি লঞ্চ সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ২৪ এপ্রিল এ ভ্রমণ হবে। আটটি লঞ্চ হচ্ছে ৭৫ সিটের দ্যা ওয়েভে ৭১ জন, ৫০ সিটের সিলভার ক্রুজে ৩০ জন, ৪০ সিটের বন সাম্পানে ৩০ জন, ১০ সিটের সানওয়ে ২ এ নয় জন, ১১ সিটের গাংচিলে নয় জন, ১৮ সিটের বাওয়ালীতে ১৫ জন, ৫০ সিটের উৎসবে ৪০ জন ও ৫৬ সিটের আরালসিতে ৫৬ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ২৪ এপ্রিল ও ২৮ এপ্রিল এ লঞ্চগুলো যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এগুলো করমজল, হারবড়িয়া, কটকা ও কচিখালী রুটে ভ্রমণ করবে। এছাড়া মোংলা থেকে সুন্দরবনের করমজল ও হারবারিয়া ভ্রমণের জন্য বোট, জাহাজ ও লঞ্চ রয়েছে।স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটিতে লোকসমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। এটি মোংলা থেকে নদী পথে সবচেয়ে কাছের পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছরই এ কেন্দ্রটিতে দর্শনার্থী আসে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়ে। এবারও তাই করমজল পর্যটন কেন্দ্রেও প্রস্তুতি রয়েছে।তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যটন মৌসুম নয়। এপ্রিল মাস সাধারণত ঝড় বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর ছোবল থাকে। কিন্তু এ বছর তেমন বৃষ্টি নেই। তাই পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।জানা গেছে, সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা-কচিখালী ও দুবলাসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এ সব পর্যটন স্পট ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হয় বনপ্রহরীদের। তবে এবার কেবল করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা ও কচিখালী রুটেই ভ্রমণ করা যাবে।ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, এ মাসটাতে সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের আগ্রহ ছিল না। তবে ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।তিনি বলেন, সুন্দরবনের গভীরের স্পটগুলোতে যাত্রী ওঠানামার সমস্যা রয়েছে। বন বিভাগকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বন বিভাগ আশপাশের স্পটগুলোতে সংস্কার ও মেরামত করলেও গভীর সুন্দরবনে সংস্কার করে না। ফলে ট্যুর অপারেটরদেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের নিরাপদ ওঠানামার ব্যবস্থা করতে হয়।পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে পর্যটক টানতে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প এগিয়ে চলছে। এ কাজ শেষ হলে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের আগ্রহ আরও বাড়বে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

ঈদের ছুটিতে সুন্দরবন ভ্রমণ, প্রস্তুত ৮ লঞ্চ

আপডেট সময় ০৯:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিশ্ব ঐতিহ্য ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি শেষ। ঈদের পরদিন থেকেই মোংলা হয়ে ছোট ছোট বোর্টে করমজল ও হারবাড়িয়া ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ২৪ ও ২৮ এপ্রিল তিন দিনের ভ্রমণের জন্য আটটি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ আটটি লঞ্চে দুইবারে প্রায় ৫০০ পর্যটক থাকবেন সুন্দরবন ভ্রমণে।ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে খুলনা থেকে আটটি লঞ্চ সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ২৪ এপ্রিল এ ভ্রমণ হবে। আটটি লঞ্চ হচ্ছে ৭৫ সিটের দ্যা ওয়েভে ৭১ জন, ৫০ সিটের সিলভার ক্রুজে ৩০ জন, ৪০ সিটের বন সাম্পানে ৩০ জন, ১০ সিটের সানওয়ে ২ এ নয় জন, ১১ সিটের গাংচিলে নয় জন, ১৮ সিটের বাওয়ালীতে ১৫ জন, ৫০ সিটের উৎসবে ৪০ জন ও ৫৬ সিটের আরালসিতে ৫৬ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ২৪ এপ্রিল ও ২৮ এপ্রিল এ লঞ্চগুলো যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এগুলো করমজল, হারবড়িয়া, কটকা ও কচিখালী রুটে ভ্রমণ করবে। এছাড়া মোংলা থেকে সুন্দরবনের করমজল ও হারবারিয়া ভ্রমণের জন্য বোট, জাহাজ ও লঞ্চ রয়েছে।স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটিতে লোকসমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। এটি মোংলা থেকে নদী পথে সবচেয়ে কাছের পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছরই এ কেন্দ্রটিতে দর্শনার্থী আসে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়ে। এবারও তাই করমজল পর্যটন কেন্দ্রেও প্রস্তুতি রয়েছে।তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যটন মৌসুম নয়। এপ্রিল মাস সাধারণত ঝড় বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর ছোবল থাকে। কিন্তু এ বছর তেমন বৃষ্টি নেই। তাই পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।জানা গেছে, সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা-কচিখালী ও দুবলাসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এ সব পর্যটন স্পট ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হয় বনপ্রহরীদের। তবে এবার কেবল করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা ও কচিখালী রুটেই ভ্রমণ করা যাবে।ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, এ মাসটাতে সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের আগ্রহ ছিল না। তবে ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।তিনি বলেন, সুন্দরবনের গভীরের স্পটগুলোতে যাত্রী ওঠানামার সমস্যা রয়েছে। বন বিভাগকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বন বিভাগ আশপাশের স্পটগুলোতে সংস্কার ও মেরামত করলেও গভীর সুন্দরবনে সংস্কার করে না। ফলে ট্যুর অপারেটরদেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের নিরাপদ ওঠানামার ব্যবস্থা করতে হয়।পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে পর্যটক টানতে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প এগিয়ে চলছে। এ কাজ শেষ হলে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের আগ্রহ আরও বাড়বে।