স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপির ২নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের প্রাণের দাবী পূরণে সরকার কর্তৃক ২নং ওয়ার্ডের হাসিমপুর গ্রামের সামনের দিরাই শ্যামারচর মেইন রোডের পূর্ব থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা হাওরের ঝিল পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পে সরকার কর্তৃক ৪,৮০,০০০/- (চার লক্ষ আশি হাজার) টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটির প্রকল্প সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য নরেশ চন্দ্র দাস তার নিজের লোকদের নিয়ে মনগড়া পকেট কমিটি করে কাজ শুরু করলেও অল্প জায়গায় মাটি ভরাট করার পরই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখিয়া নানা বাহানায় পরপর বিল উত্তোলন করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ইউএনও বরাবর। উক্ত ওয়ার্ডের জহুর লাল রায় সহ মোট ১৩ জন সচেতন নাগরিকউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত ১২/০৬/২০২৩ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প স্বল্প মাটি কাটা হলেও কাজ বন্ধ রেখে হাওরে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির বরাদ্দ মতে কাজ হয়নি। যার ফলে এলাকাবাসীর কাঙ্খিত রাস্তাটি বাস্তবায়ন না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। উক্ত রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার জনসাধারণের চাষাবাদ সহ হেমন্ত মৌসুমে শত শত লোক চলাচল করে থাকেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার দরুন উক্ত রাস্তাটি কৃষি উন্নয়নে ও এলাকার জনসাধারণের স্বার্থে মাটি ভরাট কাজের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি ¯’ানীয় ইউপি সদস্য নরেশ চন্দ্র দাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি অসুস্থতার কথা বলে অন্য কোন কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।