বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। শুক্রবার (২৮শে জুলাই) দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল থেকে নয়াপল্টন সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবির ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত মিছিলে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও বয়সের হাজার হাজার নেতাকর্মী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নয়াপল্টন এলাকা ছাড়িয়ে ফকিরাপুল ও নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে শান্তিনগর, মৌচাক, কাকরাইল মসজিদ, সেগুন বাগিচাসহ বিজয় নগর কালভার্ট রোডে ছড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এতে ঢাকা ছাড়াও সারাদেশ থেকে আসা দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিকেলে মহাসমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি মহাসচিব। দলটির সিনিয়র নেতারা বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখলে রাখবে বিএনপি।
বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, মৌচাক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। এছাড়া বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে। রাখা হয়েছে প্রিজনভ্যান, আর্মড ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান ও জলকামান।
যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিএনপি ছাড়াও আরও ৩৬ টি সমমনা দল ও জোট রাজধানীতে আলাদা সমাবেশ করছে।