ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। গত সাত মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন পাঁচজন। এর কারণ হিসেবে সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহকে দায়ী করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে এসব ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তারা আত্মহত্যা করেছেন।

গত ৭ জুলাই ভোরে সোনিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ১৫ জুন ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা এমাদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

১২ জুন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজা বেগম নামের এক কলেজছাত্রী। ১৭ জুন হোটেলশ্রমিক রিনা বেগমকে তার প্রেমিক শাকিল গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৫ মে ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকার গৃহবধূ জোনাকী বেগম তার শিশু সন্তানসহ নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্বামী ফরহাদ ইতালী প্রবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শাশুড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রথমে সন্তান আলিফকে (৪) রশিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, যখন সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহ বেড়ে যায় তখন মানুষ আত্মহত্যা করে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ রোগ। আত্মহত্যার আগে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যখনই সংসারে অশান্তি, ঝামেলা, কলহ বাড়ে তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, অধিকাংশ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এসব ঘটনাগুলো খুবই স্পর্শকাতর।

আত্মহত্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, অভাব, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় জড়িত বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে

আপডেট সময় ০১:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। গত সাত মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন পাঁচজন। এর কারণ হিসেবে সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহকে দায়ী করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে এসব ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তারা আত্মহত্যা করেছেন।

গত ৭ জুলাই ভোরে সোনিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ১৫ জুন ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা এমাদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

১২ জুন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজা বেগম নামের এক কলেজছাত্রী। ১৭ জুন হোটেলশ্রমিক রিনা বেগমকে তার প্রেমিক শাকিল গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৫ মে ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকার গৃহবধূ জোনাকী বেগম তার শিশু সন্তানসহ নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্বামী ফরহাদ ইতালী প্রবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শাশুড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রথমে সন্তান আলিফকে (৪) রশিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, যখন সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহ বেড়ে যায় তখন মানুষ আত্মহত্যা করে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ রোগ। আত্মহত্যার আগে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যখনই সংসারে অশান্তি, ঝামেলা, কলহ বাড়ে তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, অধিকাংশ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এসব ঘটনাগুলো খুবই স্পর্শকাতর।

আত্মহত্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, অভাব, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় জড়িত বলেও জানান তিনি।