ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দিরাইয়ে জামায়াতের মিছিল Logo নিবন্ধন পেল অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ ২৪ ডটকম’ Logo পুরাতন ভিডিও নিয়ে অপপ্রচার: গাগলি গ্রামে উত্তেজনা, স্বপন মিয়া দাবি অস্বীকার Logo শান্তিগঞ্জে জমজমাট ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: ট্রাইবেকারে জয় পায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা সোহেল আহমদ Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন

আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। গত সাত মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন পাঁচজন। এর কারণ হিসেবে সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহকে দায়ী করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে এসব ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তারা আত্মহত্যা করেছেন।

গত ৭ জুলাই ভোরে সোনিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ১৫ জুন ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা এমাদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

১২ জুন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজা বেগম নামের এক কলেজছাত্রী। ১৭ জুন হোটেলশ্রমিক রিনা বেগমকে তার প্রেমিক শাকিল গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৫ মে ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকার গৃহবধূ জোনাকী বেগম তার শিশু সন্তানসহ নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্বামী ফরহাদ ইতালী প্রবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শাশুড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রথমে সন্তান আলিফকে (৪) রশিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, যখন সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহ বেড়ে যায় তখন মানুষ আত্মহত্যা করে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ রোগ। আত্মহত্যার আগে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যখনই সংসারে অশান্তি, ঝামেলা, কলহ বাড়ে তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, অধিকাংশ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এসব ঘটনাগুলো খুবই স্পর্শকাতর।

আত্মহত্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, অভাব, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় জড়িত বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দিরাইয়ে জামায়াতের মিছিল

আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে

আপডেট সময় ০১:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। গত সাত মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন পাঁচজন। এর কারণ হিসেবে সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহকে দায়ী করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে এসব ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তারা আত্মহত্যা করেছেন।

গত ৭ জুলাই ভোরে সোনিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ১৫ জুন ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা এমাদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

১২ জুন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজা বেগম নামের এক কলেজছাত্রী। ১৭ জুন হোটেলশ্রমিক রিনা বেগমকে তার প্রেমিক শাকিল গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৫ মে ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকার গৃহবধূ জোনাকী বেগম তার শিশু সন্তানসহ নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্বামী ফরহাদ ইতালী প্রবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শাশুড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রথমে সন্তান আলিফকে (৪) রশিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, যখন সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহ বেড়ে যায় তখন মানুষ আত্মহত্যা করে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ রোগ। আত্মহত্যার আগে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যখনই সংসারে অশান্তি, ঝামেলা, কলহ বাড়ে তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, অধিকাংশ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এসব ঘটনাগুলো খুবই স্পর্শকাতর।

আত্মহত্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, অভাব, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় জড়িত বলেও জানান তিনি।