ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা চার মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে আলোচনায় যারা

গত ২৮ জুলাই সফল মহাসমাবেশ শেষ করে ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচিতে মহানগর ছাত্রদলের অনেকেই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, অনেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়েছে দলের সিনিয়র নেতারা। এ ব্যাপারে তাদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন।

বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এই ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছেন কেউ কেউ। এরই মাঝে  যুবদলের নতুন দুই মহানগরের কমিটি কী করে গঠন করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন আলোচনায় ঢাকার ৪ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, রাজপথের ত্যাগী কর্মীদের একটাই প্রত্যাশা— যারা অতীতে মহানগরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করলে বিএনপির সরকারবিরোধী ‘এক দফা’ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

মহানগর ও থানার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বক্তব্য স্পষ্ট— যারা পূর্বে মহানগরীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের দিয়ে যদি নতুন কমিটি গঠন করা হয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকার পতনের আন্দোলনে নতুন করে গতি পাবে।

এ ছাড়াও, ২৯ জুলাই ছাত্রদলের যারা অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে, তাদের মূল্যায়ন করা অতীব জরুরি বলেও মনে করেন এসব মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে ছাত্রদলের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব এবং পশ্চিম— এই চার ইউনিটের সম্ভাব্য কমিটির শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন অন্তত ২০ জন নেতা। তারা হচ্ছেন— ঢাকা মহানগর উত্তরের বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর বাবু, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল খান, সাজেদ আহমেদ, নুরুজ্জামান চন্দন, দুলাল আহমেদ, আজম, মইন, জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ নিরব, বিজয় রহমান জামাল এবং আনিকুর রহমান জাফর। মহানগর পশ্চিমের জুয়েল রাজ, আকরাম আহমেদ, জিন্নাহ, বশির এবং আশরাফুল আলম মামুন। মহানগর পূর্বের মো. আলামিন, সোহাগ ভূঁইয়া, ইফতেখার ফয়সাল এবং রিয়াজুল ইসলাম রাসেল। মহানগর দক্ষিণের মধ্যে আছেন নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, রফিক হাওলাদার, রাজু আহমেদ এবং শামীম আহমেদ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু কে বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। সে আন্দোলনের সময় আর কেউ যেন গাফিলতি করতে না পারেন, সেদিকে আমরা বিশেষ খেয়াল রাখবো। আন্দোলনে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দলীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে এবং সেটা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

ঢাকা চার মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে আলোচনায় যারা

আপডেট সময় ০৭:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

গত ২৮ জুলাই সফল মহাসমাবেশ শেষ করে ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচিতে মহানগর ছাত্রদলের অনেকেই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, অনেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়েছে দলের সিনিয়র নেতারা। এ ব্যাপারে তাদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন।

বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এই ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছেন কেউ কেউ। এরই মাঝে  যুবদলের নতুন দুই মহানগরের কমিটি কী করে গঠন করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন আলোচনায় ঢাকার ৪ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, রাজপথের ত্যাগী কর্মীদের একটাই প্রত্যাশা— যারা অতীতে মহানগরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করলে বিএনপির সরকারবিরোধী ‘এক দফা’ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

মহানগর ও থানার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বক্তব্য স্পষ্ট— যারা পূর্বে মহানগরীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের দিয়ে যদি নতুন কমিটি গঠন করা হয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকার পতনের আন্দোলনে নতুন করে গতি পাবে।

এ ছাড়াও, ২৯ জুলাই ছাত্রদলের যারা অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে, তাদের মূল্যায়ন করা অতীব জরুরি বলেও মনে করেন এসব মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে ছাত্রদলের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব এবং পশ্চিম— এই চার ইউনিটের সম্ভাব্য কমিটির শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন অন্তত ২০ জন নেতা। তারা হচ্ছেন— ঢাকা মহানগর উত্তরের বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর বাবু, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল খান, সাজেদ আহমেদ, নুরুজ্জামান চন্দন, দুলাল আহমেদ, আজম, মইন, জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ নিরব, বিজয় রহমান জামাল এবং আনিকুর রহমান জাফর। মহানগর পশ্চিমের জুয়েল রাজ, আকরাম আহমেদ, জিন্নাহ, বশির এবং আশরাফুল আলম মামুন। মহানগর পূর্বের মো. আলামিন, সোহাগ ভূঁইয়া, ইফতেখার ফয়সাল এবং রিয়াজুল ইসলাম রাসেল। মহানগর দক্ষিণের মধ্যে আছেন নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, রফিক হাওলাদার, রাজু আহমেদ এবং শামীম আহমেদ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু কে বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। সে আন্দোলনের সময় আর কেউ যেন গাফিলতি করতে না পারেন, সেদিকে আমরা বিশেষ খেয়াল রাখবো। আন্দোলনে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দলীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে এবং সেটা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’