ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ঝালমুড়ি বেচে কিনেছেন জমি, এখন বাড়ি বানাবেন রাব্বি

ঢাকা: মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকায় ঠেলাগাড়িতে করে ঝালমুড়ি বিক্রি করে জমান ৮ লাখ টাকা। সেই টাকা সিলেটে নিজ গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন পাঁচ শতাংশ ভিটা জমি।

সেই জমিতে এখন বাড়ি করার স্বপ্ন নিয়ে দুপুরের পর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত পরিশ্রম করে টাকা জমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাব্বি (২০) নামের এই যুবক।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হসপিটালের গেটে ঠেলাগাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে করতে নিউজ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন রাব্বি।

জানান, এই মুড়ির দোকান শুরু করেন তার নানা, এরপর বাবা এসে দায়িত্ব নেন। গত ৮ বছর ধরে তিনি হাল ধরেছেন ঝালমুড়ি বিক্রির।

রাব্বি বলেন, আমার বাড়ি সিলেট হবিগঞ্জ গ্রাম মুরাপুর। ২০১৬ সালে বাবার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসি। বাবা ঠিকমতো ইনকাম করতে পারতেন না। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো তাই পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকায় আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। এসেই অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। আর বাবার এই মুড়ির দোকানের হাল ধরি। বিগত সাত বছর ধরে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে যে জায়গাটুকু কিনেছি ওই জায়গায় বাবা চাষাবাদ করেন, ছোট ভাইকে ঢাকায় একটা হাফেজি মাদরাসায় ভর্তি করেছি আর বোন গ্রামে পড়াশোনা করে। বাড়িতে সংসারের খরচ ও ভাই বোনের পড়াশোনার খরচ সব কিছু আমাকেই দেখতে হয়।

বাড়িতে ঘর করতে পারলেই ঢাকা ছেড়ে সিলেটে চলে যাবেন বলেন আশা ব্যক্ত করেন রাব্বি।
নিজের ইচ্ছার কথা জানান রাব্বি। বলেন, সিলেটে গিয়ে বাবার সঙ্গে ছোটখাটো একটা হোটেল দেব এবং ভাই ও বোনকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করব। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা।

রাব্বি জানান, মাত্র ২০০০ টাকার পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন ১১ থেকে ১২শ’ টাকা ইনকাম হয় তার। নানার সঙ্গে মহাখালী টিভি গেটে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন মুড়ি, বুট, পেঁয়াজ আর মশলা নিয়ে। নির্দিষ্ট স্থানেই বসান নিজের দোকান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ

ঝালমুড়ি বেচে কিনেছেন জমি, এখন বাড়ি বানাবেন রাব্বি

আপডেট সময় ১০:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা: মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকায় ঠেলাগাড়িতে করে ঝালমুড়ি বিক্রি করে জমান ৮ লাখ টাকা। সেই টাকা সিলেটে নিজ গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন পাঁচ শতাংশ ভিটা জমি।

সেই জমিতে এখন বাড়ি করার স্বপ্ন নিয়ে দুপুরের পর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত পরিশ্রম করে টাকা জমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাব্বি (২০) নামের এই যুবক।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হসপিটালের গেটে ঠেলাগাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে করতে নিউজ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন রাব্বি।

জানান, এই মুড়ির দোকান শুরু করেন তার নানা, এরপর বাবা এসে দায়িত্ব নেন। গত ৮ বছর ধরে তিনি হাল ধরেছেন ঝালমুড়ি বিক্রির।

রাব্বি বলেন, আমার বাড়ি সিলেট হবিগঞ্জ গ্রাম মুরাপুর। ২০১৬ সালে বাবার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসি। বাবা ঠিকমতো ইনকাম করতে পারতেন না। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো তাই পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকায় আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। এসেই অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। আর বাবার এই মুড়ির দোকানের হাল ধরি। বিগত সাত বছর ধরে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে যে জায়গাটুকু কিনেছি ওই জায়গায় বাবা চাষাবাদ করেন, ছোট ভাইকে ঢাকায় একটা হাফেজি মাদরাসায় ভর্তি করেছি আর বোন গ্রামে পড়াশোনা করে। বাড়িতে সংসারের খরচ ও ভাই বোনের পড়াশোনার খরচ সব কিছু আমাকেই দেখতে হয়।

বাড়িতে ঘর করতে পারলেই ঢাকা ছেড়ে সিলেটে চলে যাবেন বলেন আশা ব্যক্ত করেন রাব্বি।
নিজের ইচ্ছার কথা জানান রাব্বি। বলেন, সিলেটে গিয়ে বাবার সঙ্গে ছোটখাটো একটা হোটেল দেব এবং ভাই ও বোনকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করব। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা।

রাব্বি জানান, মাত্র ২০০০ টাকার পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন ১১ থেকে ১২শ’ টাকা ইনকাম হয় তার। নানার সঙ্গে মহাখালী টিভি গেটে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন মুড়ি, বুট, পেঁয়াজ আর মশলা নিয়ে। নির্দিষ্ট স্থানেই বসান নিজের দোকান।