ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিক সহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

A

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ (২সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, রনজতি সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার ও ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়। হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বর হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে ভীতিকর এক পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করে। এমনকি অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষায় হয়নি শিক্ষার্থীদের। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেয়। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে বের করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেয়। তাদের চিৎকার আর্তনাদে পরবর্তীতে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়।
এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।
বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিক সহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

A

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ (২সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, রনজতি সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার ও ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়। হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বর হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে ভীতিকর এক পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করে। এমনকি অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষায় হয়নি শিক্ষার্থীদের। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেয়। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে বের করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেয়। তাদের চিৎকার আর্তনাদে পরবর্তীতে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়।
এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।
বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন।