ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া Logo শান্তিগঞ্জে দিনব্যাপী তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শাল্লায় অফিসেই আত্মহত্যা করলেন অফিস সহকারী Logo সামাজিক সংগঠন স্টুডেন্টস কেয়ার জগন্নাথপুর এর বৃক্ষ উৎসব সম্পন্ন Logo সুনামগঞ্জ জেলায় নবনিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যোগদান Logo দিরাই ডেভেলাপমেন্ট অর্গেনাইজেশন ইউকের উদ্দ্যোগে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীতা সম্পন্ন Logo নবনিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন Logo বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২ Logo পাথারিয়া ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন মোঃফয়জুল হক Logo সোহম আমাদের জাগরণের পথ দেখিয়েছে – ইউএনও সনজিব সরকার

চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

  • মান্নার মিয়া
  • আপডেট সময় ০৮:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় পাকা ধানের শীষে যেন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। এই মুহূর্তে মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে পুরোদমে ব্যস্ত কৃষকরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠজুড়ে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই ধান কাটা ও মাড়াই কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের কর্মব্যস্ততা দেখা যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময়ে চারা রোপণ, সার, কীটনাশক ছিটানোসহ নিয়মিত পরিচর্যা করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। এতে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩৯ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। কম্বাইন হারভেস্টারে দ্রুত ধান কাটতে পায়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
জয়কলস ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উমায়েদ নূর বলেন, আমন রোপনের পর থেকেই ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক পাশে আছি আমরা। এবার আমার জয়কলস ইউনিয়সহ উপজেলায় সর্বত্র উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হয়েছে। জয়কলস ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামের কৃষক সেজু মিয়া জানান, দুই। বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ৩৬ মণ ধান পেয়েছেন। এখন সেই জমিতে তিনি সরিষা চাষ করবেন। কান্দিগাঁও গ্রামের আরেক কৃষক শহিদ মিয়া বলেন, ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ইতোমধ্যে কিছু জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরাপুরি ধান কাটা শেষ করতে পারব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকামাকড় ধানের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। আশা করি লাভবান হবো। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অল্প দিনে রোপা আমন ধান ঘরে উঠার ফলে কৃষকরা সহজেই সরিষা চাষে যেতে পারবেন। আশা করি আগামীতে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ আরো বাড়বে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া

চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৮:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় পাকা ধানের শীষে যেন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। এই মুহূর্তে মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে পুরোদমে ব্যস্ত কৃষকরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠজুড়ে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই ধান কাটা ও মাড়াই কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের কর্মব্যস্ততা দেখা যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময়ে চারা রোপণ, সার, কীটনাশক ছিটানোসহ নিয়মিত পরিচর্যা করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। এতে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩৯ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। কম্বাইন হারভেস্টারে দ্রুত ধান কাটতে পায়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
জয়কলস ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উমায়েদ নূর বলেন, আমন রোপনের পর থেকেই ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক পাশে আছি আমরা। এবার আমার জয়কলস ইউনিয়সহ উপজেলায় সর্বত্র উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হয়েছে। জয়কলস ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামের কৃষক সেজু মিয়া জানান, দুই। বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ৩৬ মণ ধান পেয়েছেন। এখন সেই জমিতে তিনি সরিষা চাষ করবেন। কান্দিগাঁও গ্রামের আরেক কৃষক শহিদ মিয়া বলেন, ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ইতোমধ্যে কিছু জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরাপুরি ধান কাটা শেষ করতে পারব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকামাকড় ধানের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। আশা করি লাভবান হবো। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অল্প দিনে রোপা আমন ধান ঘরে উঠার ফলে কৃষকরা সহজেই সরিষা চাষে যেতে পারবেন। আশা করি আগামীতে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ আরো বাড়বে।