ঢাকা , সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo আপনাদের সন্তান হিসেবে সেবা করার সুযোগ চাই : সৈয়দ তালহা আলম  Logo পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন  Logo শাল্লায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দিরাই শাল্লার সম্পৃতি রক্ষায় পাবেল চৌধুরীর আহ্বান Logo শান্তিগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo টাঙ্গুয়ার হাওরে গড়ে উঠছে পর্যটক সেবা কেন্দ্র: জানালেন অতিরিক্ত ডিআইজি (নৌ পুলিশ) Logo শান্তিগঞ্জে জব্বার ডাকাত গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত পংকজসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, উদ্ধার ৩৫০ ইয়াবা Logo শান্তিগঞ্জে বৃদ্ধের মানহানি করায় পুলিশ সদস্য আল আমিনের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন Logo শান্তিগঞ্জে জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সেমিনার Logo দোয়ারাবাজারে একাধিক মামলার আসামী ভূমি খেকু আওয়ামী লীগ নেতা আনু গ্রেপ্তার

শিক্ষক লাঞ্ছনা ও দখলদারিত্বের অভিযোগে কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

  • আনোয়ার হোসাইন
  • আপডেট সময় ০২:৩০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
শিক্ষক লাঞ্ছনা, দখলদারিত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ একরার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের নির্দেশ জারি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজীব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ কী ছিল?
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রভাব বিস্তারে অস্ত্রবাজি, দখল ও হামলা
স্থানীয়রা জানান, একরার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। স্কুল, মাদ্রাসা ও জলমহাল নিয়ন্ত্রণে নিতে তিনি নিজের বাহিনী গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তার বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান, কারণ তিনি ক্ষমতার দাপটে প্রতিপক্ষকে দমন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গভর্নিং বডি নিয়ে দুর্নীতি ও আদালতে লড়াই
হাতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ নিয়েও একরার হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। কাগজে-কলমে ভোট দেখিয়ে তিনি পদ দখল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এক অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গভর্নিং বডিটি বাতিল করে।
কিন্তু উচ্চ আদালতে মামলা করে একরার হোসেন প্রাথমিকভাবে রায় নিজের পক্ষে নেন। পরে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন আদালতের রায়ে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত আসে, যা আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
জনপ্রতিনিধির মুখোশ খুলে গেল?
স্থানীয়দের মতে, একরার হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এতদিন নিজের অপরাধ আড়াল করে রেখেছিলেন। জনপ্রতিনিধির আড়ালে তিনি একজন দখলদার ও সন্ত্রাসী চক্রের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

আপনাদের সন্তান হিসেবে সেবা করার সুযোগ চাই : সৈয়দ তালহা আলম 

শিক্ষক লাঞ্ছনা ও দখলদারিত্বের অভিযোগে কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

আপডেট সময় ০২:৩০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
শিক্ষক লাঞ্ছনা, দখলদারিত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ একরার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের নির্দেশ জারি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজীব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ কী ছিল?
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রভাব বিস্তারে অস্ত্রবাজি, দখল ও হামলা
স্থানীয়রা জানান, একরার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। স্কুল, মাদ্রাসা ও জলমহাল নিয়ন্ত্রণে নিতে তিনি নিজের বাহিনী গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তার বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান, কারণ তিনি ক্ষমতার দাপটে প্রতিপক্ষকে দমন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গভর্নিং বডি নিয়ে দুর্নীতি ও আদালতে লড়াই
হাতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ নিয়েও একরার হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। কাগজে-কলমে ভোট দেখিয়ে তিনি পদ দখল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এক অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গভর্নিং বডিটি বাতিল করে।
কিন্তু উচ্চ আদালতে মামলা করে একরার হোসেন প্রাথমিকভাবে রায় নিজের পক্ষে নেন। পরে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন আদালতের রায়ে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত আসে, যা আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
জনপ্রতিনিধির মুখোশ খুলে গেল?
স্থানীয়দের মতে, একরার হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এতদিন নিজের অপরাধ আড়াল করে রেখেছিলেন। জনপ্রতিনিধির আড়ালে তিনি একজন দখলদার ও সন্ত্রাসী চক্রের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে।