ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে জমজমাট ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: ট্রাইবেকারে জয় পায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা সোহেল আহমদ Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

সুসাস গণপাঠাগার নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সভাপতি শেখ একেএম জাকারিয়া

  • মান্নার মিয়া
  • আপডেট সময় ০৭:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

গত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত “সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার হতে শেখ একেএম জাকারিয়াকে অব্যাহতি” শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। উক্ত সংবাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এতে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি ঘটানো হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়েছে যে, কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তে আমাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির কাউকে না নিয়েই শুধুমাত্র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মুন্সী ও কিছু বহিরাগত ব্যক্তি একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতিকে অপসারণের জন্য কার্যকরী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামত প্রয়োজন, যা এই ক্ষেত্রে হয়নি।
প্রথমদিকে এটি “শেখ ওয়ারিশ গণপাঠাগার” নামে একটি ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল। আমি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমী মিলে সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার গঠনের সিদ্ধান্ত নিই। তবে একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠাগার পরিচালনার জন্য অর্থ, বই ও একটি স্থায়ী ভবন প্রয়োজন ছিল, যা সদস্যদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব ছিল না।
পরবর্তীতে, আমার বাবা শেখ ওয়ারিশ সাহেবের অনুমতিক্রমে তাঁর ব্যক্তিগত পাঠাগারটি “সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার” নামে পরিবর্তন করা হয় এবং এটি সাহিত্য সংসদের অধীনে পরিচালনার জন্য প্রদান করা হয়। এরপর পাঠাগারের নামে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়, যা সরকারি নিবন্ধন ও অনুদানও লাভ করে।
কিন্তু গত চার বছরে সাধারণ সম্পাদক পাঠাগারের কার্যক্রম থেকে তিন বছরের বেশি অনুপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি এসে পাঠাগারের স্থান পরিবর্তনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন এবং এ নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করেন। সদস্যদের না জানিয়ে কিছু বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে পাঠাগারের স্থান পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালান। উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় তিনি পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পাঠাগারটি আমার বাবা বিনামূল্যে সাহিত্য সংসদকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। ২০২২ সালের বন্যায় পাঠাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারি অনুদানের অর্থ দিয়ে দুটি বুকসেলফ ক্রয় করা হয়, যার প্রমাণাদি পাঠাগারে বিদ্যমান।
আমি সব সময় পাঠাগারের উন্নয়নে কাজ করেছি এবং কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।
যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, একজন কুচক্রী লেখকের ইন্ধনে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মুন্সী এবং বহিরাগত কিছু ব্যক্তি এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন যা আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াস মাত্র।
অতএব, আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে জমজমাট ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: ট্রাইবেকারে জয় পায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন

সুসাস গণপাঠাগার নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সভাপতি শেখ একেএম জাকারিয়া

আপডেট সময় ০৭:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

গত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত “সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার হতে শেখ একেএম জাকারিয়াকে অব্যাহতি” শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। উক্ত সংবাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এতে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি ঘটানো হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়েছে যে, কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তে আমাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির কাউকে না নিয়েই শুধুমাত্র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মুন্সী ও কিছু বহিরাগত ব্যক্তি একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতিকে অপসারণের জন্য কার্যকরী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামত প্রয়োজন, যা এই ক্ষেত্রে হয়নি।
প্রথমদিকে এটি “শেখ ওয়ারিশ গণপাঠাগার” নামে একটি ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল। আমি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমী মিলে সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার গঠনের সিদ্ধান্ত নিই। তবে একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠাগার পরিচালনার জন্য অর্থ, বই ও একটি স্থায়ী ভবন প্রয়োজন ছিল, যা সদস্যদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব ছিল না।
পরবর্তীতে, আমার বাবা শেখ ওয়ারিশ সাহেবের অনুমতিক্রমে তাঁর ব্যক্তিগত পাঠাগারটি “সুনামগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগার” নামে পরিবর্তন করা হয় এবং এটি সাহিত্য সংসদের অধীনে পরিচালনার জন্য প্রদান করা হয়। এরপর পাঠাগারের নামে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়, যা সরকারি নিবন্ধন ও অনুদানও লাভ করে।
কিন্তু গত চার বছরে সাধারণ সম্পাদক পাঠাগারের কার্যক্রম থেকে তিন বছরের বেশি অনুপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি এসে পাঠাগারের স্থান পরিবর্তনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন এবং এ নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করেন। সদস্যদের না জানিয়ে কিছু বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে পাঠাগারের স্থান পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালান। উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় তিনি পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পাঠাগারটি আমার বাবা বিনামূল্যে সাহিত্য সংসদকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। ২০২২ সালের বন্যায় পাঠাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারি অনুদানের অর্থ দিয়ে দুটি বুকসেলফ ক্রয় করা হয়, যার প্রমাণাদি পাঠাগারে বিদ্যমান।
আমি সব সময় পাঠাগারের উন্নয়নে কাজ করেছি এবং কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।
যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, একজন কুচক্রী লেখকের ইন্ধনে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মুন্সী এবং বহিরাগত কিছু ব্যক্তি এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন যা আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াস মাত্র।
অতএব, আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।