ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাঠ্যবইয়ে কপি : স্বীকার করে জাফর ইকবাল ও হাসিনা খানের বিবৃতি

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে লেখা সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ে হুবহু অনুবাদের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। দায় স্বীকার করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে তারা বলেন, একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যে কোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, পাঠ্যপুস্তক হচ্ছে মূলত একটি সংকলন। এখানে অনেক লেখকের লেখা যুক্ত করা হয়ে থাকে। সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে একটি অধ্যায়ের দুটি প্যারাগ্রাফে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানো রেফারেন্সটা লেখা হয়নি। অসতর্কতার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পাঠ্যবই আসলে মৌলিক প্রবন্ধ বা পাবলিকেশন না, একটি সংকলন। এখানে নানা ধরনের লেখা থাকতে পারে, অন্য লেখকের লেখাও আসতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য আসতে পারে। সারা পৃথিবীতে এমনভাবেই পাঠ্যবই তৈরি করা হয়ে থাকে। বইয়ের মধ্যে লেখা কারও নিজের তা কেউ দাবি করেনি। তাই এখানো চৌর্যবৃত্তি বলা যাবে না। এখানে সোর্স উল্লেখ না করাটা ভুল ছিল বলে অভিযোগ স্বীকার করে বিবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর

পাঠ্যবইয়ে কপি : স্বীকার করে জাফর ইকবাল ও হাসিনা খানের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৭:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে লেখা সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ে হুবহু অনুবাদের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। দায় স্বীকার করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে তারা বলেন, একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যে কোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, পাঠ্যপুস্তক হচ্ছে মূলত একটি সংকলন। এখানে অনেক লেখকের লেখা যুক্ত করা হয়ে থাকে। সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে একটি অধ্যায়ের দুটি প্যারাগ্রাফে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানো রেফারেন্সটা লেখা হয়নি। অসতর্কতার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পাঠ্যবই আসলে মৌলিক প্রবন্ধ বা পাবলিকেশন না, একটি সংকলন। এখানে নানা ধরনের লেখা থাকতে পারে, অন্য লেখকের লেখাও আসতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য আসতে পারে। সারা পৃথিবীতে এমনভাবেই পাঠ্যবই তৈরি করা হয়ে থাকে। বইয়ের মধ্যে লেখা কারও নিজের তা কেউ দাবি করেনি। তাই এখানো চৌর্যবৃত্তি বলা যাবে না। এখানে সোর্স উল্লেখ না করাটা ভুল ছিল বলে অভিযোগ স্বীকার করে বিবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।