ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

মানবতাবিরোধী অপরাধ : ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এরা সবাই পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

এর আগে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এ মামলায় মোট নয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। বাকি ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই দাখিল করা হয় এসব অভিযোগ। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

আর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। যা শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর। এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়। এরপর একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। যাতে তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিন রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এ সময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক, মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তখন আব্দুল হান্নান খান বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজন মারা গেছেন। এখন মামলার বাকি সব আসামিই পলাতক।

এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুলতান ফকির ও এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন। তারা সবাই ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই থেকে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহম্মদাবাদ উচ্চবিদ্যালয় রাজাকার ক্যাম্প, কানিহারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করেন আসামিরা।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

মানবতাবিরোধী অপরাধ : ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০২:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এরা সবাই পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

এর আগে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এ মামলায় মোট নয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। বাকি ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই দাখিল করা হয় এসব অভিযোগ। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

আর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। যা শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর। এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়। এরপর একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। যাতে তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিন রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এ সময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক, মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তখন আব্দুল হান্নান খান বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজন মারা গেছেন। এখন মামলার বাকি সব আসামিই পলাতক।

এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুলতান ফকির ও এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন। তারা সবাই ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই থেকে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহম্মদাবাদ উচ্চবিদ্যালয় রাজাকার ক্যাম্প, কানিহারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করেন আসামিরা।