উন্নয়নকাজ যেখানে হচ্ছে, সেখানে কিছুটা বায়ুদূষণ হবেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান যে কারণ- গাড়ির কালো ধোঁয়া বলা হচ্ছে, তা আমাদের মাথায় আছে। এটি রোধে আমাদের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আর আই খান মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিচালিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতদের স্থানীয়ভাবে অভিযোজনের জন্য টেকসই জীবিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
গত এক সপ্তাহ ধরে বায়ুদূষণে ঢাকার এক নম্বরে থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হলো ইটভাটা। ইটভাটাগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০২৪ সাল থেকে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, অন্য যেসব কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে, যেমন গাড়ির কালো ধোঁয়া ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া, সবকিছু মিলিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ থেকেও দূষিত বায়ু এসে আমাদের দেশের বায়ুদূষণ করছে। রাস্তাঘাটে যারা কাজ করছেন, বেশি পরিমাণে পানি ছিটাতে আমরা বারবার তাদের আহ্বান করছি। বৃষ্টিপাত হয়ে গেলে আশা করি বায়ুর মান উন্নত হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, গাড়ির কালো ধোঁয়া কমাতে আমরা ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছি। এক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেয়া যায় এবং এনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে বিষয়টি আরও জোরদার করতে পারি। চালকদের সঙ্গে আমরা অনেকবার আলোচনার টেবিলে বসেছি এবং আমরা আশা করি, যেসব কর্মকাণ্ড নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমবে এবং ঢাকায় বাতাসের মান বাড়বে।
খুলনার লবণাক্ত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যাতে সবাই এই প্রকল্পের অধীনে আসে, সেজন্য আমরা ব্যাপক আকারে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।