আধুনিক সিলেটের স্বপ্নদ্রষ্টা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি সিলেটে মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে সিলেটের যাতায়াত ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত মেট্রোরেল এবং সিলেট শহরের সার্কুলার রিংরোডের প্রস্তাব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাস্টারপ্লানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপদের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে।
এই প্রকল্পটির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে সিলেটের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। যানজট কমে যাবে সময় বাচবে। সিলেটের পর্যটন শিল্পে যোগ হবে নতুন মাত্রা। প্রকৃত অর্থে সিলেট একটি আধুনিক নগরের মর্যাদা লাভ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ইতোমধ্যে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন-৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয়।