ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

হাতাহাতি মুহুর্থে হত্যা মামলা আসামীর পলায়ন

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মনির হোসেন হাওলাদার (২২) হত্যার মামলার সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাতাহাতির সুযোগে সটকে পড়েছেন সন্দেহভাজন ওই আসামি। এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক উপপরিদর্শক ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-সিআইডির এসআই রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম।

আসামি আব্বাস হাওলাদার মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার এলাকার রব হাওলাদারের ছেলে। ওই গ্রামেরই একটি হত্যা মামলার আসামি তিনি।

সিআইডির এসআই রুহুল জানান, গত বছরের ২৪ মে সকালে মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশে স্থানীয় মনির হাওলাদার (২২) নামের এক ব্যক্তিকে চোখ তুলে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য গত ৪ জুলাই দায়িত্ব পায় সিআইডি।

ঘটনার বর্ণনায় রুহুল বলেন, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের জন্য অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম অবস্থান নেন।

এ সময় আব্বাসের স্বজনরা তাদের পরনে সিআইডির জ্যাকেট দেখে ঘিরে ধরে। তখন তাদের সঙ্গে ‘ধস্তাধস্তিতে’ তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম সামান্য আহত হন।

এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে এসআই রুহুল আমিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় সিআইডি পুলিশ। এ সময় আব্বাসের ভাইসহ তার ৬/৭ জন বন্ধু গিয়ে সিআইডিকে বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে সিআইডির হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়।

এ সুযোগে আসামি আব্বাস পালিয়ে যায় এবং পুলিশের পক্ষ হয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আব্বাসের ভাই ও বন্ধুরাও পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ধস্তাধস্তিতে সিআইডি পুলিশের এসআই রুহুল হাতে ‘সামান্য জখম’ হয়েছে। আর কনস্টেবলও ‘সামান্য আহত’ হয়।

সুমন রহমান: জনস্বার্থে নিউজ24.কম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

হাতাহাতি মুহুর্থে হত্যা মামলা আসামীর পলায়ন

আপডেট সময় ০৬:১৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মনির হোসেন হাওলাদার (২২) হত্যার মামলার সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাতাহাতির সুযোগে সটকে পড়েছেন সন্দেহভাজন ওই আসামি। এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক উপপরিদর্শক ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-সিআইডির এসআই রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম।

আসামি আব্বাস হাওলাদার মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার এলাকার রব হাওলাদারের ছেলে। ওই গ্রামেরই একটি হত্যা মামলার আসামি তিনি।

সিআইডির এসআই রুহুল জানান, গত বছরের ২৪ মে সকালে মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশে স্থানীয় মনির হাওলাদার (২২) নামের এক ব্যক্তিকে চোখ তুলে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য গত ৪ জুলাই দায়িত্ব পায় সিআইডি।

ঘটনার বর্ণনায় রুহুল বলেন, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের জন্য অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম অবস্থান নেন।

এ সময় আব্বাসের স্বজনরা তাদের পরনে সিআইডির জ্যাকেট দেখে ঘিরে ধরে। তখন তাদের সঙ্গে ‘ধস্তাধস্তিতে’ তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম সামান্য আহত হন।

এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে এসআই রুহুল আমিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় সিআইডি পুলিশ। এ সময় আব্বাসের ভাইসহ তার ৬/৭ জন বন্ধু গিয়ে সিআইডিকে বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে সিআইডির হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়।

এ সুযোগে আসামি আব্বাস পালিয়ে যায় এবং পুলিশের পক্ষ হয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আব্বাসের ভাই ও বন্ধুরাও পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ধস্তাধস্তিতে সিআইডি পুলিশের এসআই রুহুল হাতে ‘সামান্য জখম’ হয়েছে। আর কনস্টেবলও ‘সামান্য আহত’ হয়।

সুমন রহমান: জনস্বার্থে নিউজ24.কম