পাখি শিকারিদের কারণে দিন দিন কমছে পাখির সংখ্যা। এতে হাওরের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। গত ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে পাখি শুমারি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ বন বিভাগ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) পাখি শুমারি করে। বাংলাদেশের ৭১৮ প্রজাতির পাখির মধ্যে ৩৮৮ প্রজাতির পাখিই পরিযায়ী। শীতকালে পরিযায়ী হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসে বাংলাদেশে। তারা বেছে নেয় হাকালুকি হাওরের জলাশয়। প্রায় ১৮১ বর্গ কিলোমিটারের এই হাওরে রয়েছে ছোট-বড় ২৭৬টি বিল। এবারের পাখি শুমারির জরিপে হাকালুকিতে এ বছর এসেছে ২৫ হাজার পাখি। এটা বিগত বছরগুলো থেকে অনেক কম। যা ২০২০ সালে ছিল ৪০ হাজার ১২৬টি পাখি। কয়েক বছর আগে দেশে ৫-৬ লাখ পরিযায়ী পাখি আসতো। এসব পাখি বেশিরভাগ মৌলভীবাজার ও সিলেটের হাওরগুলোকে মুখরিত রাখত। প্রতি বছর হাওরে বিলগুলো ইজারা দেওয়া হয়। এ বছরও হয়েছে। এতে বেশ লোক সমাগম ঘটে। দিনরাত পাহারা দেওয়া হয়। এসব কারণে পরিযায়ী পাখিরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে না। ইজারদার দ্বারা বিল শুকিয়ে মাছ আহরণের কারণে নষ্ট হচ্ছে হাওরের জীববৈচিত্র। ফলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে।বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) পর্যবেক্ষণ বলছে, গত ২০ বছরে সমগ্র বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ কমেছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। হাকালুকিতে কমেছে ৪৫ শতাংশ। ২০০০ সালের আগে হাওরে গড়ে বিচরণ করত ৭৫-৮০ হাজার পাখি। যার ৮০ শতাংশই হাকালুকি হাওরে। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা দ্রুত কমার বিষয়ে পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। নদী দূষণ, জাল বিষটোপ ও পটাশ দিয়ে পাখি শিকার, একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিলে মাছ আহরণ, ইজারাদার দ্বারা বিল শুকিয়ে মাছ নিধন, বিলে দিবারাত্রি পাহারা ও জলজ বৃক্ষ নিধনসহ নানান সমস্যার কারণে পরিযায়ী পাখি কমছে। বাংলাদেশের ৭১৮ প্রজাতির পাখির মধ্যে ৩৮৮ প্রজাতির পাখিই পরিযায়ী। শীতকালে পরিযায়ী হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসে বাংলাদেশে। তারা বেছে নেয় হাকালুকি হাওরের জলাশয়। প্রায় ১৮১ বর্গ কিলোমিটারের এই হাওরে রয়েছে ছোট-বড় ২৭৬টি বিল। এবারের পাখি শুমারির জরিপে হাকালুকিতে এ বছর এসেছে ২৫ হাজার পাখি। এটা বিগত বছরগুলো থেকে অনেক কমপাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্য পরিবেশ কর্মী কামরুল হাসান নোমান জানান, হাকালুকি হাওরের সঙ্গে যে নদীগুলো মিলিত হয়েছে। এখন এই নদীগুলো ময়লার ভাগাড়। প্লাস্টিক, পলিথিন, দূষিত পানি পাখি কমার অন্যতম কারণ। জাল, বিষটোপ ও পটাশ দিয়ে নিয়মিত পাখি নিধনের পাশাপাশি পাখিদের বিচরণ ভূমি জলাশয়গুলো অরক্ষিত থাকায় দিন দিন কমছে পাখির সংখ্যা। হাওরের পরিযায়ী পাখি রক্ষায় স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা থাকতে হবে। এতে বাঁচবে আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি।বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর হাওরে বিলগুলো ইজারা দেওয়া হয়। এ বছরও হয়েছে। এতে বেশ লোক সমাগম ঘটে। দিনরাত পাহারা দেওয়া হয়। এসব কারণে পরিযায়ী পাখিরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে না। ইজারদার দ্বারা বিল শুকিয়ে মাছ আহরণের কারণে নষ্ট হচ্ছে হাওরের জীববৈচিত্র। ফলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে।
ঢাকা
,
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।
শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা
জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন
পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা
হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা
২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।
হাকালুকি হাওরে অনিরাপদ পরিযায়ী পাখি
- জনস্বার্থে নিউজ ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ০৬:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- ৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ