যবিপ্রবি’র সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাক্রম নিয়ে সরকার কাজ করছে। একটি মহল এই শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’‘নতুন পাঠক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে কিছু অসাধু ধর্ম ব্যবসায়ী গুজব ছড়াচ্ছে।’শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চতুর্থ সমাবর্তনে চ্যান্সেলরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাক্রম নিয়ে সরকার কাজ করছে। একটি মহল এই শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’দীপু মনি বলেন, ‘বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে না। আগামীতে প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে একটি পরীক্ষা নেয়া হবে।’‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে হবে।’নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ করা হচ্ছে।’সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন।বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণা এগিয়ে নেয়ার সব উপকরণ দেশে রয়েছে।’
সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পান।
এই আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।