ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দেড়ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, পরে সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী Logo বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার Logo শান্তিগঞ্জের আসামমুড়ায় ​ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল Logo দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন Logo জগন্নাথপুরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণ মোদক কে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করে Logo দিরাইয়ে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

ব্রিটিশ আমলে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোকে যুগ যুগ পর একত্র করছেন

আমি যখন কোন নিখোঁজ পরিবারকে খুঁজে পাই তখন আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। এটা আমাকে কিছু একটা পাওয়ার অনুভূতি দেয়,বলছিলেন শামসু দ্বীন।গত প্রায় ২৫ বছর ধরে ত্রিনিদাদ ও টোবেগোর একজন ভূগোল শিক্ষক ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩০০টিরও বেশি পরিবারকে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন৷তার সাফল্যের গল্পের মধ্যে রয়েছেন দু’জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তার নিজের পরিবারের সদস্যরা।”এটা অনেকটা বার বার করে প্রেমে পড়ার মতো,” বলছিলেন তিনি, যখন আপনি জানতে পারলেন যে আপনার পরিবারের এমন সব সদস্য রয়েছে যাদের সম্পর্কে আপনি কিছুই জানতেন না তখন “তাৎক্ষণিকভাবে আপনার একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়,” বলছিলেন তিনি।ভারতে ব্রিটিশ শাসন, যার আরেক নাম ছিল ব্রিটিশ রাজ, সে সময় দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছিল। কিন্তু তখন শ্রমিকের ঘাটতি দেখা দিলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যজুড়ে ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের “সস্তা শ্রম” হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়।আঠারোশ আটত্রিশ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে আখের খামারে কাজ করার জন্য অনেক ভারতীয়কে ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরিশাস এবং ফিজিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াটির প্রভাব এতটাই সুদূরপ্রসারী ছিল যে এর প্রভাব এখনও বিশ্বব্যাপী দেখা যায়। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিশাল এক সম্প্রদায় এখনও এসব দেশে বসবাস করছেন।যদিও এসব শ্রমিকের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় ঐ দেশগুলোতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সম্ভবত তারা কোন্ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে তারা পুরোপুরিভাবে সচেতন ছিলেন না। তারা নিরক্ষর ছিলেন বলে চুক্তির শর্ত তারা বুঝতে পারেননি, এবং চুক্তিপত্রে তারা শুধু টিপসই দিয়েছিলেন। ফলে অনেক শ্রমিককে জোর করে অন্য উপনিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।এমনকি অনেকে জানতেনও না যে কোন্ দেশে তারা কাজ করতে যাচ্ছেন এবং কিছু ইতিহাসবিদ চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ব্যবহারের ব্যবস্থাকে “নতুন দাস ব্যবসা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।এখন ক্যারিবীয় অঞ্চলের এসব চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নাতি-নাতনিরা ভারতের পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এক শতাব্দী আগে তাদের পূর্ব-পুরুষরা যে পথ ধরে এসব উপনিবেশগুলিতে গিয়েছিলেন, এখন তাদেরই উত্তরপুরুষ ঠিক বিপরীত পথটি ধরে ভারতে ফিরছেন। এবং শামসু দ্বীনের সহায়তায় তাদের আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে বের করছেন, যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কেই তাদের ধারণা ছিল না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ব্রিটিশ আমলে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোকে যুগ যুগ পর একত্র করছেন

আপডেট সময় ০৯:২৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আমি যখন কোন নিখোঁজ পরিবারকে খুঁজে পাই তখন আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। এটা আমাকে কিছু একটা পাওয়ার অনুভূতি দেয়,বলছিলেন শামসু দ্বীন।গত প্রায় ২৫ বছর ধরে ত্রিনিদাদ ও টোবেগোর একজন ভূগোল শিক্ষক ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩০০টিরও বেশি পরিবারকে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন৷তার সাফল্যের গল্পের মধ্যে রয়েছেন দু’জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তার নিজের পরিবারের সদস্যরা।”এটা অনেকটা বার বার করে প্রেমে পড়ার মতো,” বলছিলেন তিনি, যখন আপনি জানতে পারলেন যে আপনার পরিবারের এমন সব সদস্য রয়েছে যাদের সম্পর্কে আপনি কিছুই জানতেন না তখন “তাৎক্ষণিকভাবে আপনার একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়,” বলছিলেন তিনি।ভারতে ব্রিটিশ শাসন, যার আরেক নাম ছিল ব্রিটিশ রাজ, সে সময় দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছিল। কিন্তু তখন শ্রমিকের ঘাটতি দেখা দিলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যজুড়ে ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের “সস্তা শ্রম” হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়।আঠারোশ আটত্রিশ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে আখের খামারে কাজ করার জন্য অনেক ভারতীয়কে ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরিশাস এবং ফিজিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াটির প্রভাব এতটাই সুদূরপ্রসারী ছিল যে এর প্রভাব এখনও বিশ্বব্যাপী দেখা যায়। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিশাল এক সম্প্রদায় এখনও এসব দেশে বসবাস করছেন।যদিও এসব শ্রমিকের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় ঐ দেশগুলোতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সম্ভবত তারা কোন্ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে তারা পুরোপুরিভাবে সচেতন ছিলেন না। তারা নিরক্ষর ছিলেন বলে চুক্তির শর্ত তারা বুঝতে পারেননি, এবং চুক্তিপত্রে তারা শুধু টিপসই দিয়েছিলেন। ফলে অনেক শ্রমিককে জোর করে অন্য উপনিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।এমনকি অনেকে জানতেনও না যে কোন্ দেশে তারা কাজ করতে যাচ্ছেন এবং কিছু ইতিহাসবিদ চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ব্যবহারের ব্যবস্থাকে “নতুন দাস ব্যবসা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।এখন ক্যারিবীয় অঞ্চলের এসব চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নাতি-নাতনিরা ভারতের পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এক শতাব্দী আগে তাদের পূর্ব-পুরুষরা যে পথ ধরে এসব উপনিবেশগুলিতে গিয়েছিলেন, এখন তাদেরই উত্তরপুরুষ ঠিক বিপরীত পথটি ধরে ভারতে ফিরছেন। এবং শামসু দ্বীনের সহায়তায় তাদের আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে বের করছেন, যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কেই তাদের ধারণা ছিল না।