সুমন রহমান: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ এ এলাকার মানুষের সম্পদ, এ বছর ১ হাজার ৭৮টি পিআইসির মাধ্যমে হাওর এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হলে আইনের আওতায় আনা হবে। দেশের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনশীল এলাকা এ হাওরাঞ্চল। হাওরাঞ্চলের এক ফসলী বোরো ধান কেটে কৃষকরা যাতে ঘরে তুলতে পারেন এর আগ মুহুর্থ পর্যন্ত পিআইসিসহ সংশ্লিষ্টদের মাঠে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
রোববার (৫ মার্চ) দিরাই উপজেলার তোফানখালী বাঁধ সহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, হাওরের ফসল তুলার পর অপরিকল্পিতভাবে বাঁধগুলোকে যেন কেটে দেয়া না হয়। যদি কোন প্রয়োজনে বাঁধ কেটে দিতেই হয় তাহলে প্রশাসনের অনুমতি এবং প্রকৌশলীদের পরামর্শ নিয়ে বাঁধ কাটতে হবে। অন্যতায় অনুমতি ব্যাতিরেকে বাঁধ কাটলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঁধ পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট রিজনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার, তত্ববধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. শামসুদ্দোহা, গ্রামীণ জনকল্যাণের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জামিল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক সোয়েব হাসান, তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ প্রমুখ।