ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আমাদের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। এছাড়া আহতদের মেডিক্যালে নেয়ার জন্য পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রয়েছে।রাজধানীর গুলিস্তানে একটি সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে ৭০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।বিস্ফোরণের পর ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বংশালের প্রবাসী মো.সুমন, একই এলাকার হৃদয়,আকুতি বেগম, নাজমুল হোসেন, ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী ইসহাক মৃধা, যাত্রাবাড়ীর মুনসুর হোসেন, একই এলাকার ইদ্রিস মির ও নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আলুবাজারের মো. ইসমাইল, চাঁদপুরের মতলবের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল আমিন, কেরাণীগঞ্জের রাহাত, চকবাজারের ইসলামবাগের মমিনুল ইসলাম, একই এলাকার নদী বেগম, মুন্সিগঞ্জের সৈয়দপুরের মাঈন উদ্দিন মানিকগঞ্জ সদরের বায়দুল হাসান বাবুল, গজারিয়ার বালুয়া কান্দি গ্রামের আবু জাফর সিদ্দিক ও সিয়াম।
মঙ্গলবার বিকেলে ৪টা ৫০ মিনিটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিট।স্থানীয়দের ভাষ্য, সাততলা যে ভবনেবিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। ওই ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাঁচ। রাস্তায় চলাচল করা যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আমাদের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। এছাড়া আহতদের মেডিক্যালে নেয়ার জন্য পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রয়েছে।