ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল Logo দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন Logo জগন্নাথপুরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণ মোদক কে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করে Logo দিরাইয়ে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার Logo তুফানে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর,নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই Logo দোয়ারাবাজারে ঘিলাতলী ব্রিজে রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি।। দূর্ভোগ চরমে Logo জগন্নাথপুরে ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা Logo সিলেটে ৪৮ বিজিবি কর্তৃক ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভ খান

পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।এর আগে গত সোমবার (২০ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছিলেন, দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের মালিক আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল।তিনি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, সে নামেই তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির চিঠি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে।”স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এর আগে জানান, আরাভকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।গত ১৫ মার্চ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের শোরুম উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করেন। তখন আরাভকে একটি ফেসবুক পোস্টে দেখার পর অনেকে তাকে হত্যা মামলার অভিযোগে পলাতক রবিউল ইসলাম হিসেবে চিহ্নিত করেন।এরপর পুলিশ আরাভের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, সাবেক একজন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার আর্থিক সহযোগিতায় দুবাইয়ে আরাভ খান তার সোনার ব্যবসা শুরু করেছেন।২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার লাশ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তাদের লক্ষ্য ছিল অশ্লীল ছবি তুলে ধনী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি করা।২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়াকেও আসামি করা হয়। মামলায় মামুনের বন্ধু রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হোসেনসহ আরও দুই তরুণীকে আসামি করা হয়।মামলার নথি থেকে জানা যায়, রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুটিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লা ও লাকী বেগমের ছেলে।তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাংলাদেশি পরিচয়পত্র থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন। এনআইডির তথ্য অনুযায়ী তার জন্মস্থান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় নয় মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভ খান

আপডেট সময় ১১:৫৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।এর আগে গত সোমবার (২০ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছিলেন, দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের মালিক আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল।তিনি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, সে নামেই তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির চিঠি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে।”স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এর আগে জানান, আরাভকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।গত ১৫ মার্চ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের শোরুম উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করেন। তখন আরাভকে একটি ফেসবুক পোস্টে দেখার পর অনেকে তাকে হত্যা মামলার অভিযোগে পলাতক রবিউল ইসলাম হিসেবে চিহ্নিত করেন।এরপর পুলিশ আরাভের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, সাবেক একজন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার আর্থিক সহযোগিতায় দুবাইয়ে আরাভ খান তার সোনার ব্যবসা শুরু করেছেন।২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার লাশ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তাদের লক্ষ্য ছিল অশ্লীল ছবি তুলে ধনী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি করা।২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়াকেও আসামি করা হয়। মামলায় মামুনের বন্ধু রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হোসেনসহ আরও দুই তরুণীকে আসামি করা হয়।মামলার নথি থেকে জানা যায়, রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুটিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লা ও লাকী বেগমের ছেলে।তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাংলাদেশি পরিচয়পত্র থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন। এনআইডির তথ্য অনুযায়ী তার জন্মস্থান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় নয় মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।