ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’

জেসমিনের মাথায় আঘাতের তথ্য নেই

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ওই নারীর মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তা নিয়ে কোনো তথ্য নেই দাবি করে এই মৃত্যুর ঘটনায় বাহিনীর কারো দায় থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে একথা জানান তিনি।র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘ওই নারীর মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। এই জাতীয় কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। উনার যে ডেথ সার্টিফিকেট, সেখানে এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। আঘাতের ব্যাপারটি আমাদের জানা নেই।‘আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখেছি, পুলিশ কেইস দেখেছি এবং ডাক্তারের মন্তব্য… আমি তদন্তের কথা বললাম। একটু সময় লাগবে, যেহেতু পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা গুরুত্বপূর্ণ।’তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এটা তদন্ত করবো। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যদি এমন কিছু থাকে তাহলে, এখানে সাক্ষীরা ছিলেন, এলাকার অন্যান্য লোকজন ছিলেন, যখন কম্পিউটারে প্রিন্ট করছি, তাদেরকেও আমাদের তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তখন কারো ইনভলমেন্ট যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ওই নারীকে আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মঈন বলেন, ‘রাজশাহীতে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ফেসবুক খুলে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছিল। তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসে জিডি করেন তার আইডি হ্যাক হয়েছে বলে, আদালতে মামলাও করেন। গত ১৯ ও ২০ মার্চ তার নাম পদবি ব্যবহার করে অর্থ নেয়া ও প্রতারণার তথ্য আসে তার কাছে। তখন তিনি জানতে পারেন আল আমিন নামে একজন জড়িত। জেসমিনের নামে একজনেরও তথ্য পান।‘২২ তারিখ ওই কর্মকর্তা অফিস যাওয়ার সময় টহলরত র‌্যাবের গাড়ি পেয়ে অভিযোগটি জানান। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীর অবস্থান সনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।’র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘যুগ্ম সচিবের সামনেই ওই নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করে র‌্যাব। জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি জড়িত কি না। এ সময় নারী র‌্যাব সদস্যরা ছিলেন। সাক্ষীদের সামনে তিনি অপকটে স্বীকার করেন। তার মোবাইলে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। লাখ লাখ টাকা জমার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০-৩০ লাখ।’ঘটনাক্রম জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করে র‌্যাব। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে আলামত প্রিন্ট করা হয়। এরপর থানায় যাওয়ার পথে অসুস্থবোধ করেন তিনি। নওগা হাসপাতালে নেয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে তিনি যান। স্বজন, এসি ল্যান্ডসহ অন্যরাও হাসপাতালে আসেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়া হয়। সিটিস্ক্যানে স্ট্রোকের আলামত পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি মারা যান।’র‌্যাব সদর দপ্তরের ইন্টারনাল ইনকোয়ারি সেল ঘটনাটি তদন্ত করছে জানিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অভিযোগ যেহেতু এসেছে, ইন্টারনাল ইনকুয়ারি সেল কাজ করছে। কারো গাফিলতি আছে কি না। বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাছে কিছু কোয়ারিজ দিয়েছে। আদালতে সেগুলো উপস্থাপনা করা হবে। তদন্ত কমিটি গতকাল করা হয়েছে। সময় লাগবে।’৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র‍্যাবের হাতে আটক হন জেসমিন। ২৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।জেসমিনের মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে র‍্যাব আটকের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকি। পরে জানতে পারি যে, সে নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখি র‍্যাবের লোকজন তার চারপাশে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সে মারা যান।’জেসমিনের পরিবারের ভাষ্য, জেসমিনের সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয় ১৭ বছর আগে। এরপর তিনি তার এক সন্তানকে অত্যন্ত কষ্ট করে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে লালন-পালন করছিলেন। তার বিরুদ্ধে কখনও কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ কেউ করতে পারেননি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

জেসমিনের মাথায় আঘাতের তথ্য নেই

আপডেট সময় ০২:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ওই নারীর মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তা নিয়ে কোনো তথ্য নেই দাবি করে এই মৃত্যুর ঘটনায় বাহিনীর কারো দায় থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে একথা জানান তিনি।র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘ওই নারীর মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। এই জাতীয় কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। উনার যে ডেথ সার্টিফিকেট, সেখানে এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। আঘাতের ব্যাপারটি আমাদের জানা নেই।‘আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখেছি, পুলিশ কেইস দেখেছি এবং ডাক্তারের মন্তব্য… আমি তদন্তের কথা বললাম। একটু সময় লাগবে, যেহেতু পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা গুরুত্বপূর্ণ।’তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এটা তদন্ত করবো। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যদি এমন কিছু থাকে তাহলে, এখানে সাক্ষীরা ছিলেন, এলাকার অন্যান্য লোকজন ছিলেন, যখন কম্পিউটারে প্রিন্ট করছি, তাদেরকেও আমাদের তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তখন কারো ইনভলমেন্ট যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ওই নারীকে আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মঈন বলেন, ‘রাজশাহীতে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ফেসবুক খুলে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছিল। তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসে জিডি করেন তার আইডি হ্যাক হয়েছে বলে, আদালতে মামলাও করেন। গত ১৯ ও ২০ মার্চ তার নাম পদবি ব্যবহার করে অর্থ নেয়া ও প্রতারণার তথ্য আসে তার কাছে। তখন তিনি জানতে পারেন আল আমিন নামে একজন জড়িত। জেসমিনের নামে একজনেরও তথ্য পান।‘২২ তারিখ ওই কর্মকর্তা অফিস যাওয়ার সময় টহলরত র‌্যাবের গাড়ি পেয়ে অভিযোগটি জানান। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীর অবস্থান সনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।’র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘যুগ্ম সচিবের সামনেই ওই নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করে র‌্যাব। জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি জড়িত কি না। এ সময় নারী র‌্যাব সদস্যরা ছিলেন। সাক্ষীদের সামনে তিনি অপকটে স্বীকার করেন। তার মোবাইলে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। লাখ লাখ টাকা জমার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০-৩০ লাখ।’ঘটনাক্রম জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করে র‌্যাব। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে আলামত প্রিন্ট করা হয়। এরপর থানায় যাওয়ার পথে অসুস্থবোধ করেন তিনি। নওগা হাসপাতালে নেয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে তিনি যান। স্বজন, এসি ল্যান্ডসহ অন্যরাও হাসপাতালে আসেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়া হয়। সিটিস্ক্যানে স্ট্রোকের আলামত পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি মারা যান।’র‌্যাব সদর দপ্তরের ইন্টারনাল ইনকোয়ারি সেল ঘটনাটি তদন্ত করছে জানিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অভিযোগ যেহেতু এসেছে, ইন্টারনাল ইনকুয়ারি সেল কাজ করছে। কারো গাফিলতি আছে কি না। বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাছে কিছু কোয়ারিজ দিয়েছে। আদালতে সেগুলো উপস্থাপনা করা হবে। তদন্ত কমিটি গতকাল করা হয়েছে। সময় লাগবে।’৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র‍্যাবের হাতে আটক হন জেসমিন। ২৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।জেসমিনের মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে র‍্যাব আটকের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকি। পরে জানতে পারি যে, সে নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখি র‍্যাবের লোকজন তার চারপাশে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সে মারা যান।’জেসমিনের পরিবারের ভাষ্য, জেসমিনের সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয় ১৭ বছর আগে। এরপর তিনি তার এক সন্তানকে অত্যন্ত কষ্ট করে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে লালন-পালন করছিলেন। তার বিরুদ্ধে কখনও কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ কেউ করতে পারেননি।