ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’

প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে স্বজনদের নিয়োগের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতি করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজা ও প্রধান শিক্ষকের বোনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ফলাফল না টাঙানোয় বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থী ও স্বজনরা নিয়োগ কমিটির সদস্যদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন।সোমবার (২৭ মার্চ) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ উঠেছে, বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চার জন, অফিস সহায়ক পদে সাত জন ও পরিছন্নকর্মী পদে পাঁচ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সোমবার বিকালে নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও পঞ্চগড় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনসহ দুই সহকারী শিক্ষক এবং তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কথায় পরীক্ষা গ্রহণ করেন। ফলাফল না টানিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রথমে নিয়োগ কমিটি ও পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক একে একে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে তার বোন জেবুন বেগমকে ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকবর আলী তার ভাতিজা ইমরান খানকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেন। পরিছন্নকর্মী পদে আরজু বেগমকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষার্থী নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘তারা নিজেদের লোককে নিয়োগ দেবে এটা আমরা আগেই শুনেছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছিল লোক দেখানো। টাকা খেয়েছে বলে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল না দিয়ে সবাই পালিয়ে গেছেন।’পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরিপ্রত্যাশী হুসনেয়ারা বলেন, ‘আমার কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে যার কাছ থেকে টাকা বেশি পেয়েছে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবি, গত ১৯ মার্চ এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীরা বিদ্যালয়ে দিনভর থেকে ফিরে যান। সেদিন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টালবাহানা চলছিল। বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কোনটাতেই স্বচ্ছতা ছিল না।’শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার দায়িত্ব বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আকবর মুহুরি এবং প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের। আমাদের দায়িত্ব লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া। আমরা ফলাফল প্রকাশ করিনি তবে আমরা ফলাফল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাতে দিয়ে এসেছি।’তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী জানান, নিয়োগ কমিটি পালিয়ে যায়নি। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের।বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও সভাপতি আকবর আলী নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের বোন ভাতিজা নিয়োগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল টানানো হয়নি। তবে রাতে ফলাফল টানানো হয়েছে। তবে কোনও অর্থ লেনদেন হয়নি। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ করতে পারেন তারা।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে স্বজনদের নিয়োগের অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

পঞ্চগড়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতি করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজা ও প্রধান শিক্ষকের বোনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ফলাফল না টাঙানোয় বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থী ও স্বজনরা নিয়োগ কমিটির সদস্যদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন।সোমবার (২৭ মার্চ) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ উঠেছে, বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চার জন, অফিস সহায়ক পদে সাত জন ও পরিছন্নকর্মী পদে পাঁচ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সোমবার বিকালে নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও পঞ্চগড় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনসহ দুই সহকারী শিক্ষক এবং তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কথায় পরীক্ষা গ্রহণ করেন। ফলাফল না টানিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রথমে নিয়োগ কমিটি ও পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক একে একে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে তার বোন জেবুন বেগমকে ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকবর আলী তার ভাতিজা ইমরান খানকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেন। পরিছন্নকর্মী পদে আরজু বেগমকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষার্থী নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘তারা নিজেদের লোককে নিয়োগ দেবে এটা আমরা আগেই শুনেছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছিল লোক দেখানো। টাকা খেয়েছে বলে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল না দিয়ে সবাই পালিয়ে গেছেন।’পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরিপ্রত্যাশী হুসনেয়ারা বলেন, ‘আমার কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে যার কাছ থেকে টাকা বেশি পেয়েছে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবি, গত ১৯ মার্চ এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীরা বিদ্যালয়ে দিনভর থেকে ফিরে যান। সেদিন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টালবাহানা চলছিল। বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কোনটাতেই স্বচ্ছতা ছিল না।’শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার দায়িত্ব বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আকবর মুহুরি এবং প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের। আমাদের দায়িত্ব লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া। আমরা ফলাফল প্রকাশ করিনি তবে আমরা ফলাফল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাতে দিয়ে এসেছি।’তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী জানান, নিয়োগ কমিটি পালিয়ে যায়নি। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের।বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও সভাপতি আকবর আলী নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের বোন ভাতিজা নিয়োগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল টানানো হয়নি। তবে রাতে ফলাফল টানানো হয়েছে। তবে কোনও অর্থ লেনদেন হয়নি। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ করতে পারেন তারা।’