আনোয়ার হোসাইনঃ রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যে যার মতো দোকান থেকে জিনিসপত্র বের করে আনার চেষ্টা করছেন। বঙ্গবাজারের আশপাশে সব রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ আসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ৬টা ১২ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। একে একে ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়।
মাইকে করে এলাকাবাসীকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সবাইকে ফায়ার সার্ভিসের কাজে সহায়তার কথা বলা হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।আইএসপিআর এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হায়দার মো. রাসেলুজ্জামান এই তথ্য জানান।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, রাতে মার্কেটের ভেতরে কোনও লোকজন থাকে না। তবে মার্কেটে ভেতর দারোয়ান থাকে। কেউ আটকে পড়েছেন কিনা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সবাই আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত রয়েছে।
বঙ্গবাজার মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ ১০ কোটি মার্কেট, আদর্শ মার্কেট- এই চারটি মার্কেট এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে ডেকে থাকেন। এই চারটি মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান রয়েছে। প্রতিটি মার্কেটে ২৫ থেকে ৩০ জন করে দারোয়ান রয়েছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বঙ্গবাজার মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের পূর্ব দিক থেকে আগুন লাগে। তবে কোথা থেকে লেগেছে, কীভাবে লেগেছে বিষয়টি এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বঙ্গ মার্কেটের রাস্তার পাশের ভবনেও আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
সকালে আগুন লাগার খবর পেয়ে অনেক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে এসে আহাজারি করেন। জিনিসপত্র বের করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চলমান রমজান এবং সামনের ঈদে বেচাবিক্রি তো দূরের কথা, সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ায় আহাজারি করছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে বিভিন্ন রকমের কাপড় থাকায় থাকায় আগুনের ব্যাপকতা বেশি হয়।