কিশোরগঞ্জ শহরের একটি পুকুরে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের (৬২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বাদলকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে রাখা হয়েছে।
রোববার সকালে চর শোলাকিয়া এলাকার ব্যাপারি বাড়ির পুকুরে বাদলের মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
বাদল রহমানের বড় ভাই আতাউর রহমান মিলন জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে বাদল বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে আর ফেরেননি। রোববার সকালে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তার ভাইকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, মরদেহ বর্তমানে থানায় রয়েছে। ইতিমধ্যে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হপসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, নিহতের শরীরে কোন আাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ব্যবহৃত জিনিসপত্র তার সঙ্গেই পাওয়া গেছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। নিহতের পরিবারকে সব ধরণের আইনি সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।