স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের শাহপরান এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে শিমলা রাণী নাথ (২১) নামে এক কিশোরী খুন হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে সিলেটের মেজরটিলা নাথপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী বিশ্বজিৎ দেব নাথ (২৬) পালাতক রয়েছেন। বিশ্বজিত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নৃপেন্দ্র দেবনাথের ছেলে। বর্তমানে তিনি মেজরটিলা এলাকার নুরপুর রাস্তার পাশের বিয়ানী হাউসের বাসিন্দা।
আর নিহত শিমলা নগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের নূরপুর এলাকার নিপেন্দ্র নাথের মেয়ে। দাম্পত্য কলহের জেরে শিমলাকে তাঁর স্বামী খু*ন করেছে বলে অভিযোগ নি হ ত শিমলার বাবা জিতেন্দ্র দেবনাথের।
শিমলার বাবা জানান, বিশ্বজিতের সাথে ৬/৭ মাস আগে সিমলার বিয়ে দিয়েছিলেন। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। ভাই বোনেরাও সরকারি চাকরি করে। তবে বিশ্বজিত নিজে কিছু করতেন না। অপরদিকে সিমলা নগরের নয়াসড়ক এলাকায় একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করতেন। একইসাথে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স পড়ছিলেন একুশ বছরের এ তরুণী।
জিতেন্দ্র দেবনাথ বলেন, বেকার স্বামীকে বিয়ের পর থেকে একটা কিছু করার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিশ্বজিৎ তার কথা শুনতেন না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। কিছুদিন আগে শিমলা স্বামীর বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাবার বাড়িতে।
বিশ্বজিৎ তাকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরের দিকে নিজের কিছু বখাটে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সিমলা কর্মস্থলে গিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়েছেন। এ কারণে তার বাবা বৃহস্পতিবারই (২০ জুলাই) শাহপরাণ থানায় একটি জিডি দায়ের করেছিলেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বিশ্বজিৎ সিমলার মেজরটিলাস্থ নাথপাড়ার বাবার বাড়িতে উপস্থিত হন এবং এক পর্যায়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে কেটে পড়েন বলেও জানিয়েছেন জিতেন্দ্র দেবনাথ।
শাহপরান থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে শিমলা রাণী নাথ ঘরের কাজ করছিলেন। এসময় স্বামী বিশ্বজিৎ এসে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তর্কাতর্কি শুরু হলে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন বিশ্বজিৎ। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুনের ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এখনও পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।