ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

এসএসসি পরীক্ষায় তিন বোনের মুখে হাসির ঝলক

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া তিন বোন পাস করেছে। সবার বড় বোন সুমাইয়া ইসলাম জিপিএ-৪.০০, মেজ বোন সাদিয়া ইসলাম জিপিএ-৪.৫৬ ও ছোট বোন রাদিয়া ইসলাম জিপিএ ৩.৯৮ পেয়েছে। তারা সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক তাদের এ তথ্য জানান। ওই তিন বোন সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বজুফকিরের চালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। ফলাফল পেয়ে দারুণ খুশি বলে জানায় তারা। শুধু ছোট বোন রাদিয়ার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি বলে একটু মন খারাপ।

তিনজনই জানায়, একই কলেজে ভর্তি হবে। ছোটবেলা থেকে তারা একসঙ্গে একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। টুকটাক ঝগড়া হলেও তারা তিনজন সব সময় মিলেমিশেই থাকে।

তাদের বাবা শফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে জীবিকার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। ২০০০ সালে দেশে এসে বিয়ে করেন। ২০০৩ সালে স্ত্রী রেখা আক্তারকে সৌদি আরবে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে ২০০৫ সালের জুলাই মাসে বড় মেয়ে সুমাইয়ার জন্ম হয়। এর ১৪ মাস পর ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মেজ মেয়ে সাদিয়ার এবং ২০০৭ সালের শেষের দিকে ছোট মেয়ের রাদিয়ার জন্ম হয়। ২০১৮ সালের দেশে ফেরার পর আর যাননি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন মেয়েই আমার রত্ন। ওদের ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট। ওদের আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা করাবো। ওরা পড়াশোনা শেষ করে যেন দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে পারে, দেশবাসীর কাছে এ দোয়া চাই।

তিন শিক্ষার্থীর মা রেখা আক্তার বলেন, ২০১১ সালে তিন মেয়েসহ আমাকে দেশে রেখে যান স্বামী। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও ওই বছর তিন মেয়েকে সখীপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করি। এরপর থেকে একই ক্লাসে পড়ছে তারা।

সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম হোসাইন বলেন, ওই তিন বোন কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করায় আমরা খুবই খুশি। ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

এসএসসি পরীক্ষায় তিন বোনের মুখে হাসির ঝলক

আপডেট সময় ০৩:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া তিন বোন পাস করেছে। সবার বড় বোন সুমাইয়া ইসলাম জিপিএ-৪.০০, মেজ বোন সাদিয়া ইসলাম জিপিএ-৪.৫৬ ও ছোট বোন রাদিয়া ইসলাম জিপিএ ৩.৯৮ পেয়েছে। তারা সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক তাদের এ তথ্য জানান। ওই তিন বোন সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বজুফকিরের চালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। ফলাফল পেয়ে দারুণ খুশি বলে জানায় তারা। শুধু ছোট বোন রাদিয়ার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি বলে একটু মন খারাপ।

তিনজনই জানায়, একই কলেজে ভর্তি হবে। ছোটবেলা থেকে তারা একসঙ্গে একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। টুকটাক ঝগড়া হলেও তারা তিনজন সব সময় মিলেমিশেই থাকে।

তাদের বাবা শফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে জীবিকার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। ২০০০ সালে দেশে এসে বিয়ে করেন। ২০০৩ সালে স্ত্রী রেখা আক্তারকে সৌদি আরবে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে ২০০৫ সালের জুলাই মাসে বড় মেয়ে সুমাইয়ার জন্ম হয়। এর ১৪ মাস পর ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মেজ মেয়ে সাদিয়ার এবং ২০০৭ সালের শেষের দিকে ছোট মেয়ের রাদিয়ার জন্ম হয়। ২০১৮ সালের দেশে ফেরার পর আর যাননি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন মেয়েই আমার রত্ন। ওদের ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট। ওদের আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা করাবো। ওরা পড়াশোনা শেষ করে যেন দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে পারে, দেশবাসীর কাছে এ দোয়া চাই।

তিন শিক্ষার্থীর মা রেখা আক্তার বলেন, ২০১১ সালে তিন মেয়েসহ আমাকে দেশে রেখে যান স্বামী। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও ওই বছর তিন মেয়েকে সখীপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করি। এরপর থেকে একই ক্লাসে পড়ছে তারা।

সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম হোসাইন বলেন, ওই তিন বোন কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করায় আমরা খুবই খুশি। ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।