বিয়ে করে চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার উত্তরা থেকে চীনের নাগরিক জি সেন (৫৮) ও তার সহযোগী হীরা চাকমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চত করেছে পুলিশ। এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার তাদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার চীনের নাগরিক দেশটির ইয়ানজি সিটির জিলিন প্রদেশের বাসিন্দা জি সেন ওরফে ড. সেন। তিনি উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৯০ নম্বর বাসায় থাকতেন। তাঁর সহযোগী হলেন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সি ব্লকের বিরলাল চাকমার মেয়ে হিরা চাকমা। তিনি তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রূপসা বিল্ডিংয়ে থাকেন।
কলেজছাত্রীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী সরকারি একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বর্ষে পড়েন। পাশাপাশি সে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে। চীনের নাগরিক জে সেনের সহযোগী হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কলেজছাত্রীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন হীরা চাকমা। ফাঁদে ফেলে গত শুক্রবার রাতে চীনের নাগরিক জে সেনের উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসায় নিয়ে যান হীরা চাকমা। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল এবং একপর্যায়ে জি সেন তাকে ধর্ষণ করেছেন। পরে ওই ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জে সেনের সঙ্গে বিয়ের পর চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। পরদিন একই কথা বলে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, কলেজছাত্রীকে রোববার একটি কফি শপে নিয়ে যান জে সেন ও হীরা চাকমা। সেখানে অন্য এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চায় ছাত্রীটি। অভিযোগ পাওয়ার পর চীনের নাগরিক জি সেনকে সহযোগীসহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তারের পর দুজন