ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দিরাই শাল্লার সম্পৃতি রক্ষায় পাবেল চৌধুরীর আহ্বান Logo শান্তিগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo টাঙ্গুয়ার হাওরে গড়ে উঠছে পর্যটক সেবা কেন্দ্র: জানালেন অতিরিক্ত ডিআইজি (নৌ পুলিশ) Logo শান্তিগঞ্জে জব্বার ডাকাত গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত পংকজসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, উদ্ধার ৩৫০ ইয়াবা Logo শান্তিগঞ্জে বৃদ্ধের মানহানি করায় পুলিশ সদস্য আল আমিনের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন Logo শান্তিগঞ্জে জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সেমিনার Logo দোয়ারাবাজারে একাধিক মামলার আসামী ভূমি খেকু আওয়ামী লীগ নেতা আনু গ্রেপ্তার Logo শান্তিগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে মালিকানাধীন জায়গায় ঘর নির্মাণে বাঁধা, থানায় অভিযোগ দায়ের

সম্পর্ক ভেঙে গেলে কে বেশি কষ্ট পায়, পুরুষ নাকি নারী!

প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারী-পুরুষ উভয়েরই কষ্ট হয়। তবে এক গবেষণা বলছে, সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারীর চেয়ে নাকি পুরুষরা বেশি কষ্ট পায়।

‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের অনলাইন পোস্ট যাচাই করে গবেষণাটি চালানো হয়। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. রায়ান বয়েড।

লিঙ্গভেদে সম্পর্ক বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট যাচাই করে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরুষরা কি সত্যিই নারীদের চেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম আবেগী নাকি নারীর চেয়েও পুরুষরা বেশি আবেগী তা যাচাই করা।

প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে করা অনলাইনের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই করে গবেষকরা দেখেন, হৃদয় ভাঙার ব্যথা, অনুশোচনা, ব্রেকআপ ও কান্না সম্পর্কিত শব্দগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি পুরুষদের পোস্টে।

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন, নারীরা বিচ্ছেদ নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা করে। আর এ কারণেই গবেষকরা বলছেন নারীর তুলনায় বিচ্ছেদে বেশি কষ্ট পান পুরুষরা।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষরা নিজের বিচ্ছেদের ঘটনা অনলাইনে জানাতে দ্বিধা করেন না। এমনকি তারা আশাহত হলে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যের কাছে পরামর্শ চান। তবে নারীরা এ বিষয়ে পিছিয়ে আছেন।

এ কারণেই ধারণা করা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরও নারীরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে কম ভাবেন কিংবা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন।

আবার এমনও হতে পারে মান সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই অনলাইনে প্রেম সংক্রান্ত কিংবা দুঃখ, কষ্ট কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করেন না। তার মানে এই নয় যে নারীরা আবেগহীন! যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান গবেষকরা।

 

জনস্বার্থে লাইফস্টাইল

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শাল্লায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দিরাই শাল্লার সম্পৃতি রক্ষায় পাবেল চৌধুরীর আহ্বান

সম্পর্ক ভেঙে গেলে কে বেশি কষ্ট পায়, পুরুষ নাকি নারী!

আপডেট সময় ০২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারী-পুরুষ উভয়েরই কষ্ট হয়। তবে এক গবেষণা বলছে, সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারীর চেয়ে নাকি পুরুষরা বেশি কষ্ট পায়।

‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের অনলাইন পোস্ট যাচাই করে গবেষণাটি চালানো হয়। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. রায়ান বয়েড।

লিঙ্গভেদে সম্পর্ক বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট যাচাই করে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরুষরা কি সত্যিই নারীদের চেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম আবেগী নাকি নারীর চেয়েও পুরুষরা বেশি আবেগী তা যাচাই করা।

প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে করা অনলাইনের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই করে গবেষকরা দেখেন, হৃদয় ভাঙার ব্যথা, অনুশোচনা, ব্রেকআপ ও কান্না সম্পর্কিত শব্দগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি পুরুষদের পোস্টে।

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন, নারীরা বিচ্ছেদ নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা করে। আর এ কারণেই গবেষকরা বলছেন নারীর তুলনায় বিচ্ছেদে বেশি কষ্ট পান পুরুষরা।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষরা নিজের বিচ্ছেদের ঘটনা অনলাইনে জানাতে দ্বিধা করেন না। এমনকি তারা আশাহত হলে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যের কাছে পরামর্শ চান। তবে নারীরা এ বিষয়ে পিছিয়ে আছেন।

এ কারণেই ধারণা করা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরও নারীরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে কম ভাবেন কিংবা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন।

আবার এমনও হতে পারে মান সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই অনলাইনে প্রেম সংক্রান্ত কিংবা দুঃখ, কষ্ট কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করেন না। তার মানে এই নয় যে নারীরা আবেগহীন! যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান গবেষকরা।

 

জনস্বার্থে লাইফস্টাইল