ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

সম্পর্ক ভেঙে গেলে কে বেশি কষ্ট পায়, পুরুষ নাকি নারী!

প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারী-পুরুষ উভয়েরই কষ্ট হয়। তবে এক গবেষণা বলছে, সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারীর চেয়ে নাকি পুরুষরা বেশি কষ্ট পায়।

‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের অনলাইন পোস্ট যাচাই করে গবেষণাটি চালানো হয়। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. রায়ান বয়েড।

লিঙ্গভেদে সম্পর্ক বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট যাচাই করে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরুষরা কি সত্যিই নারীদের চেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম আবেগী নাকি নারীর চেয়েও পুরুষরা বেশি আবেগী তা যাচাই করা।

প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে করা অনলাইনের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই করে গবেষকরা দেখেন, হৃদয় ভাঙার ব্যথা, অনুশোচনা, ব্রেকআপ ও কান্না সম্পর্কিত শব্দগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি পুরুষদের পোস্টে।

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন, নারীরা বিচ্ছেদ নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা করে। আর এ কারণেই গবেষকরা বলছেন নারীর তুলনায় বিচ্ছেদে বেশি কষ্ট পান পুরুষরা।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষরা নিজের বিচ্ছেদের ঘটনা অনলাইনে জানাতে দ্বিধা করেন না। এমনকি তারা আশাহত হলে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যের কাছে পরামর্শ চান। তবে নারীরা এ বিষয়ে পিছিয়ে আছেন।

এ কারণেই ধারণা করা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরও নারীরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে কম ভাবেন কিংবা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন।

আবার এমনও হতে পারে মান সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই অনলাইনে প্রেম সংক্রান্ত কিংবা দুঃখ, কষ্ট কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করেন না। তার মানে এই নয় যে নারীরা আবেগহীন! যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান গবেষকরা।

 

জনস্বার্থে লাইফস্টাইল

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

সম্পর্ক ভেঙে গেলে কে বেশি কষ্ট পায়, পুরুষ নাকি নারী!

আপডেট সময় ০২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারী-পুরুষ উভয়েরই কষ্ট হয়। তবে এক গবেষণা বলছে, সম্পর্ক ভেঙে গেলে নারীর চেয়ে নাকি পুরুষরা বেশি কষ্ট পায়।

‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপে’ প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের অনলাইন পোস্ট যাচাই করে গবেষণাটি চালানো হয়। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. রায়ান বয়েড।

লিঙ্গভেদে সম্পর্ক বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট যাচাই করে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরুষরা কি সত্যিই নারীদের চেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম আবেগী নাকি নারীর চেয়েও পুরুষরা বেশি আবেগী তা যাচাই করা।

প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে করা অনলাইনের বিভিন্ন পোস্ট যাচাই করে গবেষকরা দেখেন, হৃদয় ভাঙার ব্যথা, অনুশোচনা, ব্রেকআপ ও কান্না সম্পর্কিত শব্দগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেশি পুরুষদের পোস্টে।

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন, নারীরা বিচ্ছেদ নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা করে। আর এ কারণেই গবেষকরা বলছেন নারীর তুলনায় বিচ্ছেদে বেশি কষ্ট পান পুরুষরা।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষরা নিজের বিচ্ছেদের ঘটনা অনলাইনে জানাতে দ্বিধা করেন না। এমনকি তারা আশাহত হলে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যের কাছে পরামর্শ চান। তবে নারীরা এ বিষয়ে পিছিয়ে আছেন।

এ কারণেই ধারণা করা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরও নারীরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে কম ভাবেন কিংবা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন।

আবার এমনও হতে পারে মান সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই অনলাইনে প্রেম সংক্রান্ত কিংবা দুঃখ, কষ্ট কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করেন না। তার মানে এই নয় যে নারীরা আবেগহীন! যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান গবেষকরা।

 

জনস্বার্থে লাইফস্টাইল